ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১

কৃষকরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দুর্বল নীতির কারণে

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কৃষকরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দুর্বল নীতির কারণে

জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থারসদর দপ্তর

  • বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পাবলিক ফোরামে নাগরিক সমাজের অভিমত

জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থারসদর দপ্তরে চলমান পাবলিক ফোরামের একটি ইভেন্টে সরকারি ও বেসরকারি বক্তারা বলেছেন, বিশ্বের টেকসই কৃষিতে ক্ষুদ্র কৃষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এবং পরিবেশগত অবনতির প্রভাবে এরাই সবচেয়ে বেশিক্ষতির শিকার। 

“সবুজ কৃষিতে অবদান রাখা ক্ষুদ্র কৃষকের সহায়ক বাণিজ্য নীতি”শিরোনামের অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে মঙ্গলবার আয়োজন করে বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং বেলজিয়ামের একটি এনজিও হুমুন্ডি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডব্লিউটিওতে নাইজেরিয়ার মিশনের সিনিয়র কাউন্সেলর ওগউচে সানডে, ব্রাসেলস-ভিত্তিক এনজিও হুমুন্ডির জোনাস জ্যাকার্ড, নরওয়ের হ্যান্ডেল স্কাম্পানিয়েনের বোর্ড লিডার হেলেনা বাংক এবং থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক ট্রাস্ট ইন্ডিয়ার উর্ধতন গবেষক ও প্রধান রঞ্জা সেনগুপ্তা। বাংলাদেশ থেকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের পার্টনারশিপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনের পরিচালক বরকত উল্লাহ মারুফ সেশনটি পরিচালনা করেন।
ডব্লিউটিওতে নাইজেরিয়ার সরকারি প্রতিনিধি ওগউচে সানডে তার বক্তৃতায় বলেন, নাইজেরিয়ার ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার খুব কম। বর্তমানে চলমান কৃষি বাণিজ্য আলোচনার অংশগ্রহণের সক্ষমতাও তাদের নেই। তারাই নাইজেরিয়ার মতো দেশে কৃষি উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র তবুও তারা এই আলোচনার বাইরে। এটি দুঃখজনক।
হুমুন্ডির পলিসি অফিসার জোনাস জ্যাকার্ড বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন হলো ডব্লিউটিও-তে কৃষি বিষয়ক আলোচনার বৃহদ অংশিদারদের একটি। তবুও ভর্তুকিনীতির অন্যায্য রূপের কারণে ইউরোপের দেশ জুড়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষকরা কৃষিপণ্যের মূল্য হ্রাসের কারণে ভুগছে।

নরওয়ের বাণিজ্য ক্যাম্পেইন ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা হ্যান্ডেল স্ক্যাম্পানিয়েনের বোর্ড প্রধান হেলেন বাংক তার বক্তৃতায় বলেন, ক্ষুদ্র কৃষকদের স্থানীয়ভিত্তিক জ্ঞান রয়েছে এবং তারা জানে কীভাবে স্থানীয় সম্পদ সবচেয়ে ভালভাবে ব্যবহার করতে হয়। যদিও বলা হচ্ছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুর্বল অর্থায়নের কারণে, কিন্তু আমি বলব, তারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দুর্বল নীতির কারণে।

থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক (টিডব্লিউএন), ভারতের রঞ্জা সেনগুপ্ত বলেন, ডব্লিউটিওর অধীনে কৃষি বিষয়ক চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল এসডিজির পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্বে কৃষির স্থায়িত্বশীলতা ও মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, তা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা পাবলিক স্টকহোল্ডিংকে একটি সমাধান হিসাবে গ্রহণ করতে পারত কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা সেটা উপেক্ষা করেই চলেছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সেশনের সঞ্চালক কোস্ট ফাউন্ডেশনের বরকত উল্লাহ মারুফ বলেন, এখন বিশ্ব অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু এই প্রযুক্তি দিয়ে খাদ্য ডাউনলোড করা সম্ভব না। মানবজাতির খাদ্যচাহিদা মেটাতে কৃষকদেরকেই তা উৎপাদন করতে হবে। এটিই কৃষির আদি ধারণা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উচিত কৃষি বিষয়ক চুক্তির ক্ষেত্র কৃষির মূল চেতনা ধারণ করা।
 

 

কাওসার

×