ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

সংস্কৃতি সংবাদ

‘কমলা রঙের বোধ’ নাটকের উদ্বোধনী  মঞ্চায়ন ৯ মে

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২২, ৭ মে ২০২৫

‘কমলা রঙের বোধ’ নাটকের উদ্বোধনী  মঞ্চায়ন ৯ মে

‘কমলা রঙের বোধ’ নাটকের মহড়ার দৃশ্য

কবি জীবনানন্দ দাশের জীবন ও সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে নতুন নাটক মঞ্চে নিয়ে আসছে থিয়েটার ফ্যাক্টরি। ‘কমলা রঙের বোধ’ নামের এ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন অলোক বসু। রাজধানীর নাটক সরণি বেইলি রোডের মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন ৯ মে সন্ধ্যা ৭টায়। 
দলীয়সূত্রে জানা যায়, এই মাসেই দুই কিস্তিতে নাটকটির ৮টি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। এই আয়োজনকে জীবনানন্দ নাট্য উৎসব নামে উদ্যাপন করতে যাচ্ছে থিয়েটার ফ্যাক্টরি। 
উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন চত্বরে সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের আমন্ত্রিত বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এই উৎসবের সূচনা করবেন। এরপর ১০ মে সন্ধ্যা ৭টায় এবং ১১ মে বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাটকের পরপর তিনটি প্রদর্শনী হবে।
১০দিনের মাথায় পরের কিস্তিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘কমলা রঙের বোধ’ নাটকটির আরও ৪টি প্রদর্শনী। এ বিষয়ে বিস্তারিত যথা সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। দলের পঞ্চম এ প্রযোজনা নিয়ে নির্দেশক অলোক বসু জনকণ্ঠকে বলেন, জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে এর আগে কখনো কোনো মঞ্চ নাটক হয়েছে কি না আমার জানা নেই। এই নাটক নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা ২০১৭ সাল থেকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ একই সময়ের, একই সারির সৃজনশীল সাহিত্যিক।

আমাদের দেশের অধিকাংশ পাঠক ও সাহিত্যানুরাগীরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সম্পর্কে যত বেশি জানে, জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে ততটা জানে না। অথচ তাদের সমসাময়িক সৃজনশীল মানুষদের মতো জীবনানন্দ দাশও একজন। তাঁর পরিচিতি অনেক কম। অথচ যারা তাকে নিয়ে চর্চা করেন, তারা জানেন জীবনানন্দ দাশ কত বড় শক্তিশালী একজন সৃজনশীল মানুষ। আমাদের মূল উদ্দেশ্যে এ প্রজন্মের মানুষের কাছে জীবনানন্দকে সঠিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

তাঁর সাহিত্য, দর্শন সব মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকবে এ নাটকে। তিনি বলেন, জীবনানন্দ দাশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও দেশে তাঁকে নিয়ে আলোচনা তুলনামূলকভাবে কম। নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁকে আরও পরিচিত করে তুলতেই এই নাটকের পরিকল্পনা। নাটকে আজকের তরুণ প্রজন্মের চোখ দিয়ে দেখা জীবনানন্দের সঙ্গে কবির সময় ও ভাবনার মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে।
তবে এটাকে আমরা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি তাঁর মৃত্যুশয্যায় থাকা ৯ দিনের মধ্যে তাঁর জীবনের কিছু বিষয় নিয়ে। নাটকের গল্প শুরু হয় ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর, যখন কবি ট্রাম দুর্ঘটনার শিকার হন। এরপর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২২ অক্টোবর কবি মৃত্যুবরণ করেন। এই ৯ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কবি নিজের চিন্তার জগতে ফিরে যান, মুখোমুখি হন তাঁর জীবন, স্বপ্ন, কল্পনা, দর্শন ও বাস্তবতার। জীবনানন্দের লিটারারি নোটসের মধ্য দিয়ে আজকের কিছু তরুণ কাব্যপ্রেমী আবিষ্কার করেন কবিকে।
নাটকে জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে অভিনয় করছেন দিপু মাহমুদ, আরিফ আনোয়ার ও কে এম হাসান। আরও অভিনয় করছেন আশা আক্তার, বিপাশা সাইদ, মুনমুন খান, সুভাষ সরকার, আকলিমা আক্তার, শান্তনূর ইহসান দিগন্ত, হাসিবুল হক, মৃন্ময় চৌধুরী, নওরীন পাপড়ি, রবিউল ইসলাম রাজিব, শাইরা, সূর্য, প্রীতমসহ অনেকে।
আলোক পরিকল্পনায় রয়েছেন ঠান্ডু রায়হান, কস্টিউম ডিজাইন করেছেন মোহসিনা আক্তার, সংগীতে রয়েছেন রমিজ রাজু, মঞ্চ পরিকল্পনায় শাকিল সিদ্ধার্থ এবং কোরিওগ্রাফিতে আমিনুল আশরাফ।

×