ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্ধ লাহোর এয়ারপোর্ট, সব ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৭ মে ২০২৫

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্ধ লাহোর এয়ারপোর্ট, সব ফ্লাইট বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে বুধবার ভোররাতে একের পর এক প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভারত সরকার জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোর ওপর লক্ষ্যভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তানের লাহোর বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সব ফ্লাইট, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বাহির পথ। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হামলাগুলো ছিল সম্পূর্ণভাবে লক্ষ্যনির্ভর, পরিমিত এবং উত্তেজনা না বাড়ানোর কৌশল অনুসরণ করে পরিচালিত। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যেসব ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো থেকেই ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল। পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি, বরং ভারত যথেষ্ট সংযম ও বিচক্ষণতা দেখিয়েছে।”

এই হামলার পরপরই পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের জনপদ কেঁপে ওঠে। তবে এখনো পর্যন্ত বিস্ফোরণগুলোর পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই-কে জানিয়েছেন, “ভারত পাকিস্তানের তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। পাকিস্তান এর উপযুক্ত জবাব দেবে।”

সম্প্রতি ভারতীয় কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর এক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, তাদের কাছে আগেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে ভারত এমন কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।

ঘটনার পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=0a3j81oAihI

এম.কে.

×