ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

ভারত-পাক যুদ্ধ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি!

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ৭ মে ২০২৫; আপডেট: ০৭:৫৪, ৭ মে ২০২৫

ভারত-পাক যুদ্ধ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি!

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মাত্র ৯৬ ঘণ্টা টিকে থাকতে পারবে পাকিস্তান,এমন বিস্ফোরক দাবি করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। 'শক্তিশালী বাহিনী' হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডারে নাকি ভয়াবহ ঘাটতি! ভারতের চিরবৈরী প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে এবার উঠে এলো বিস্ময়কর এক তথ্য।

গোটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী হিসেবে বিবেচিত হয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৪৫টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান বর্তমানে ১২তম। দক্ষ ও দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে আধুনিক সমরাস্ত্র সবই রয়েছে ইসলামাবাদের রণভাণ্ডারে।

প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে যখন উত্তেজনা চরমে, ঠিক সেই সময় পাকিস্তান বাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করেছে, যুদ্ধ বেধে গেলে পাকিস্তান চার দিনের বেশি টিকতে পারবে না। গোলাবারুদের চরম সংকটে রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে নামলে ৯৬ ঘণ্টার বেশি টিকে থাকা অসম্ভব বলেই গোপন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমটির এই দাবি ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই এটিকে 'হাস্যকর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। সাধারণত দুটি উৎস থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে থাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। একটি হচ্ছে দেশীয় অস্ত্র কারখানা, অন্যটি হলো চীন, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তা।

তবে ইউক্রেনে চলমান অস্ত্র সরবরাহের কারণে পাকিস্তানে অস্ত্র প্রবাহ আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে,এমনটাই বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। শুধু তাই নয়, দেশীয় কারখানাগুলোর গোলাবারুদ উৎপাদনের সক্ষমতাও যথেষ্ট নয় বলে দাবি করা হয়েছে এএনআই-এর প্রতিবেদনে।

সংবাদ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, একাধিক সূত্রের বরাতে তারা জেনেছে পাকিস্তানের গোলন্দাজ বাহিনীর কাছে M109 হাউইটজার কামানে ব্যবহৃত ১৫৫ মিলিমিটার গোলা নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে। সংকট রয়েছে রাশিয়ান BM-21 Grad সিস্টেমের ১২২ মিলিমিটার রকেটের ক্ষেত্রেও।

এই অস্ত্র ঘাটতি নিয়ে সম্প্রতি রাওয়ালপিন্ডিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ছড়িয়ে পড়লেও ইসলামাবাদ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে দেশটি মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের ঘাটতিও সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। এমন অবস্থায় পাকিস্তানকে সমর ভাণ্ডার সজ্জিত করতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে এই সংকটের মধ্যেও চীন ও তুরস্কের সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়নি ইসলামাবাদ। বেইজিং এবং আঙ্কারার প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় পাকিস্তান JF-17 Thunder এবং Kaan-এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা মহলে নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের JF-17 Thunder যুদ্ধবিমান ভারতের গর্ব রাফালকে মুহূর্তেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিতে পারে। অন্যদিকে, মার্কিন F-35 যুদ্ধবিমানের আদলে নির্মিত Kaan ফাইটার জেটকে বলা হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের অস্ত্রশক্তির এক অনন্য উদাহরণ।

গোলাবারুদের ঘাটতির অভিযোগ থাকলেও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে পাকিস্তান যে এখনও ভয়াবহ রকমের সক্ষমতা ধরে রেখেছে, সে কথাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। চীনের সহায়তায় তৈরি PL-F দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে পাকিস্তানের হাতে, যা শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।

 

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/yr9xd6vk

আফরোজা

×