
ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের পাল্টা জবাবে পাকিস্তান একাধিক সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে। পাকিস্তান বলেছে, তারা ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট, দুটি রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া ইসরায়েলি প্রযুক্তির একটি হেরন সারভেইলেন্স ড্রোনও ভূপাতিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানি সামরিক সূত্র আরও জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখার (LoC) নিকটবর্তী ভারতের ১২তম পদাতিক ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, যা একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমদ শরীফ চৌধুরী আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের বাহিনী শত্রুর নগ্ন আগ্রাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে এবং এলওসি বরাবর শত্রুর কয়েকটি চৌকি ধ্বংস করা হয়েছে।” পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে এবং ভারতীয় আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “তারা তাদের ঋণ শোধ করেছে।”
অন্যদিকে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি, এই অভিযান কেবল সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোর ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনো স্থাপনায় হামলা করা হয়নি। ভারত দাবি করেছে, তারা এমনভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে যাতে উত্তেজনা না বাড়ে।
এদিকে ভারতের হামলার পর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ভারত পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে, এবং এর জবাবে পাকিস্তান কঠোরভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তিনি জানান, শত্রুর মোকাবিলায় পুরো জাতি সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে। হামলার পরপরই ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে, যা স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
আঁখি