
ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সীমান্তে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মোহরা ঘোষণার পর থেকেই যুদ্ধ আতঙ্ক কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে খাদ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ করতে শুরু করেছে।
স্থানীয় দোকানগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গম, তেল, চিনি এবং ডালের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। ব্যবসায়ীরাও চাহিদা সামাল দিতে বাড়তি পণ্য মজুদ করছেন। শুধু খাবার নয়, ওষুধের দোকানগুলোতেও একই ধরনের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, তাঁরা তেল, লবণ এবং চিনির মতো জরুরি পণ্য বাড়িতে মজুদ করছেন, কারণ সরকার থেকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
আজাদ কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংকট মোকাবিলায় অন্তত দুই মাসের খাদ্য মজুদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শত কোটি রুপির একটি বিশেষ তহবিল ঘোষণাও করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাসিন্দাদের জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল ২২ এপ্রিল ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর ভারত ব্যাপক সামরিক মোহরার ঘোষণা দেয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় আজাদ কাশ্মীরজুড়ে এখন যুদ্ধের শঙ্কা এবং নিরাপত্তাহীনতা ঘনিয়ে উঠেছে।
আঁখি