
নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ
জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ৬১ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন এসেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। সংসদীয় এই আসনগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন বিবেচনায় নেবে ইসি।
বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইন সংশোধনের গেজেট হলেই কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে সাত প্রতিষ্ঠানের এনআইডি যাচাই সেবা স্থগিত করেছে ইসি। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
সচিব আখতার আহমেদ জানান, ইসির কাছে ৬১টি আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণে ৪০৫টি আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ৬১টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করতে গেলে অন্য আসনগুলোর সীমানাও পরিবর্তন হবে। এতে আসন সংখ্যা কিছু বাড়তে পারে।
আখতার আহমেদ বলেন, আমরা আইন সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিলাম। উপদেষ্টা পরিষদে তা অনুমোদন হয়েছে। এখন গেজেট হলেই কাজ শুরু করব আমরা। সীমানা পুনর্নির্ধারণের আইনে যে সকল পন্থা আছে, সেগুলোই অনুসরণ করা হবে।
ইসি সচিব বলেন, ভৌগোলিক অখ-তা, প্রশাসনিক সুবিধা ও ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিধান রয়েছে আইনে। অতীতে এগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করা হয়নি বলে অনেক অভিযোগ এসেছে ইসিতে। এক্ষেত্রে অনেকেই ২০০৮ সালের পূর্বের সীমানায় ফিরে যেতে চান।
সাত প্রতিষ্ঠানের এনআইডি যাচাই সেবা স্থগিত : সরকারি-বেসরকারি সাত প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই সেবা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত চার মাসে এই সাত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সার্ভিস পার্টনারদের (যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান) লিংকে ত্রুটি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, এনআইডির ডাটা আপনাদের, আমাদের, সবার। আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। নিরাপদ রাখার স্বার্থে যখন আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছি তখন আমরা সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, নাগরিকদের সংরক্ষিত এনআইডি তথ্য ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় একটি ব্যাংক ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যাচাই সেবা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এর আগে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের যাচাই সেবা বন্ধ করা হয়েছে। একই কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এমএফএস প্ল্যাটফর্ম, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও অর্থমন্ত্রণালয়ের আইবাস-এর সেবা স্থগিত করা হয়েছিল।
হুমায়ুন কবীর বলেন, মঙ্গলবার মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডাটা লিংকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের বলেছি এ ব্যাপারে আমাদের যে নিয়ম কানুন রয়েছে, প্রোটেকশন মেজারস নিতে বলি, সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। যারা জড়িত বলে আপনাদের কাছে প্রতীয়মান হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন। পরবর্তীতে চুক্তি অনুযায়ী যা করার করা হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের তথ্য যাচাই সেবা গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে পৃথক লিংকের মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হয়। সেবাগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান নাগরিকের এনআইডি নম্বর দিলে কমিশন এনআইডিতে প্রদর্শিত তথ্যগুলো দিয়ে থাকে।