
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) ও বিষণ্নতা (ডিপ্রেশন) দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মানসিক ও স্নায়বিক রোগ প্রতিরোধে এখনো চূড়ান্ত চিকিৎসা না থাকলেও, একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে—নিয়মিত কিছু অভ্যাস ও জীবনধারা অনুসরণ করলে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিচে বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত ১৭টি কৌশল তুলে ধরা হলো যা আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে:
১. প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান
গভীর ও পর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্কের তথ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে এবং নিউরনগুলোর কর্মক্ষমতা ঠিক রাখে। ঘুমের ঘাটতি স্মৃতিভ্রংশ ও বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ায়।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার বা যোগব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং নিউরন সংযোগ মজবুত করে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৩. মস্তিষ্কবান্ধব খাদ্য গ্রহণ করুন (Mediterranean diet)
অলিভ অয়েল, বাদাম, মাছ, শাকসবজি ও ফল—এসব খাদ্য উপাদান স্মৃতিভ্রংশ ও বিষণ্নতা প্রতিরোধে কার্যকর।
৪. ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান বর্জন করুন
এগুলো স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
৫. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
হাইপারটেনশন স্ট্রোক ও ভাসকুলার ডিমেনশিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
৬. হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
এই দুই রোগ মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ ব্যাহত করে, যা স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. মানসিক উদ্দীপনা বজায় রাখুন (Mental stimulation)
পাজল খেলা, বই পড়া, নতুন ভাষা শেখা, সঙ্গীতচর্চা—এসব মস্তিষ্ককে চাঙা রাখে।
৮. সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুন
নিয়মিত বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো বিষণ্নতা ও একাকীত্ব কমায়, যা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
৯. প্রতিদিন পর্যাপ্ত সূর্যালোক গ্রহণ করুন
সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি উৎপাদিত হয় যা মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০. ধ্যান ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন
মাইন্ডফুলনেস, মেডিটেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন মানসিক চাপ কমিয়ে বিষণ্নতা প্রতিরোধ করে।
১১. প্রযুক্তির অতিনির্ভরতা এড়ান
বেশি সময় স্ক্রিনে থাকলে মনোযোগের অভাব, ঘুমের ব্যাঘাত ও বিষণ্নতা বাড়তে পারে।
ফারুক