
ছবি: সংগৃহীত।
আজকের ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত কল্পনা করাও দুষ্কর। কিন্তু বাসায় বা অফিসে ওয়াই-ফাই সংযোগ থাকলেও ধীরগতির ইন্টারনেট আমাদের নিত্যদিনের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভিডিও কল হোক বা অনলাইন ক্লাস, স্ট্রিমিং হোক বা গেমিং—সবকিছুর জন্য দরকার দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট। আশার কথা হলো, কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করলেই আপনি আপনার ওয়াই-ফাইয়ের গতি দ্বিগুণ করতে পারেন—তাও বাড়তি খরচ ছাড়াই!
মূল প্রতিবেদন:
১. রাউটারের অবস্থান বদলান
অনেকেই রাউটারটি ঘরের এক কোণে বা দেয়ালের পাশে রেখে দেন। এতে সিগনালের একটি বড় অংশই বাধা পায় এবং দূরের রুমগুলোতে স্লো নেটওয়ার্ক দেখা দেয়। রাউটারটি ঘরের মাঝামাঝি বা খোলা জায়গায় রাখলে সিগনাল ছড়ায় সমানভাবে, ফলে গতি বাড়ে।
২. রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করুন
পুরনো ফার্মওয়্যার অনেক সময় রাউটারের পারফর্মেন্স কমিয়ে দেয়। ম্যানুফ্যাকচারারদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত আপডেট ডাউনলোড করে ইনস্টল করলে রাউটার আরও দক্ষভাবে কাজ করে, ফলে স্পিড বেড়ে যায়।
৩. ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড পরিবর্তন করুন
বর্তমান অনেক রাউটারেই ২.৪ GHz ও ৫ GHz—এই দুই ধরনের ব্যান্ড থাকে। ২.৪ GHz ব্যান্ড বেশি দূর যেতে পারে, কিন্তু গতি কম। অপরদিকে, ৫ GHz ব্যান্ডের গতি বেশি, তবে সীমিত পরিসরে কাজ করে। যদি আপনার ডিভাইস রাউটারের কাছে থাকে, তাহলে ৫ GHz বেছে নিন।
৪. ব্যবহার না হওয়া ডিভাইস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন
অনেক সময় পুরনো বা অপ্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলো রাউটারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার করে। ওয়াই-ফাই সেটিংসে গিয়ে সেগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে গতি বাড়ে।
৫. চ্যানেল পরিবর্তন করুন
একই এলাকায় অনেক রাউটার একসাথে কাজ করলে একই চ্যানেলে সিগনাল ক্ল্যাশ হতে পারে। আপনি রাউটারের সেটিংসে গিয়ে চ্যানেল ম্যানুয়ালি পরিবর্তন করে কম ব্যস্ত চ্যানেল নির্বাচন করতে পারেন। এর ফলে ইন্টারফেয়ারেন্স কমে এবং স্পিড বেড়ে যায়।
৬. ওয়াই-ফাই এক্সটেন্ডার বা রিপিটার ব্যবহার করুন
যদি আপনার বাসা বা অফিস বড় হয়, তাহলে রাউটারের একক সিগনাল পুরো জায়গায় পৌঁছায় না। এক্সটেন্ডার ব্যবহার করলে দুর্বল জায়গাগুলোতেও শক্তিশালী সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়।
ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীর দোষ দেয়ার আগে যদি এই সাধারণ কৌশলগুলো আপনি অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার ওয়াই-ফাইয়ের গতি চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্ট ব্যবহারই পারে আমাদের ডিজিটাল জীবনকে সহজ ও দ্রুততর করে তুলতে।
নুসরাত