
ছবি: প্রতীকী
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে হঠাৎ পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাল্টা জবাব দিচ্ছে পাকিস্তানও। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ২৬ জন পর্যটক হত্যার ঘটনায় নয়াদিল্লি সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে, যার চূড়ান্ত ফলাফল আপাতত ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিরোধে ভারতীয় পাঁচ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় ঘটনা।
এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য সুইফট সেন্টার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মাধ্যমে চলমান সংঘাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্লেষণমূলক পূর্বাভাস দিয়েছে।
১. ১৫ মে’র মধ্যে কি ১০০ জন ভারত-পাকিস্তান সেনা বা পুলিশ হতাহত হবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের দুই সপ্তাহে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম। সীমান্তে গোলাগুলি হতে পারে, তবে ইতিহাস বলছে, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ঘটনা খুবই বিরল।
২. ৩০ জুনের মধ্যে কি দুই দেশের ১,০০০ সেনা হতাহত হবেন?
যদি আগামী সপ্তাহগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংঘর্ষ না ঘটে, তাহলে বড় যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। তবে যদি ১০০ জনের বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সংঘাতের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. ২০২৫ সালের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি কি আবার সচল হবে?
বিশ্লেষকদের মতে, যদি সংঘাতে হতাহতের সংখ্যা সীমিত থাকে (১০০-এর নিচে), তাহলে ২০২৫ সালের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি আবার সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে চুক্তি কার্যকর রাখা রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে।
৪. ২০২৫ সালে ভারতের ওষুধ রপ্তানিতে যুদ্ধের কী প্রভাব পড়বে?
যুদ্ধ বা উত্তেজনার মাঝেও ভারতের ওষুধ রপ্তানি বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্র একাই ভারতের কাছ থেকে বছরে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ আমদানি করে এবং এই চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
৫. ভারত বা পাকিস্তান কি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা একমত যে, চলমান সংঘাতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। তবে তারা সতর্ক করে বলেছেন, এই অস্ত্র নিয়ে সামান্যতম সম্ভাবনাও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, সীমিত সংঘর্ষ হলেও দুই দেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ কিংবা পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা এখনো অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। তবে পরিস্থিতি কৌশলগতভাবে দ্রুত পাল্টে যেতে পারে।
সূত্র: প্রথম আলো
রাকিব