
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহ আগামী দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
গত পরশুদিন শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহের প্রবণতা গতকাল আরও বেড়েছে। গতকাল (৮ মে) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের পাশাপাশি রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল এবং পটুয়াখালীসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় এই তাপপ্রবাহ অনুভূত হয়েছে। একমাত্র সিলেট বিভাগ এই তালিকার বাইরে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাপপ্রবাহ ১২ মে’র পর থেকে কমে আসতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এরই মধ্যে সিলেটে সর্বোচ্চ ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালের হিজলায় ৪০ মিলিমিটার, পটুয়াখালী ও বরিশালে যথাক্রমে ১৬ এবং ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব অঞ্চলেও তাপপ্রবাহ বজায় ছিল, কারণ বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ এখন পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রায় রয়েছে। তবে এটি তীব্র রূপ নিতে পারে আজ বা আগামীকাল থেকে। তাদের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হতে পারে, যার একটি তীব্রতাও ধারণ করতে পারে।
এ বছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার ধরন গত বছরের তুলনায় তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক। উল্লেখ্য, গত বছর ছিল গত ৭৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের রেকর্ডধারী বছর।
এখন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় বা গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়নি। কেবল একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ (well-marked low) রেকর্ড করা গেছে। ১৮ মে পর্যন্ত পূর্বাভাসে বড় কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই। তবে তৃতীয় সপ্তাহে সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
এপ্রিল সাধারণত দেশের সবচেয়ে উষ্ণ মাস হলেও, মে মাসে অনেক সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় প্রি-মনসুন বৃষ্টিপাতে বজ্রপাত স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এখনো মনসুন মৌসুম শুরু না হলেও বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এএইচএ