
ছবি: সংগৃহীত
নামকরণে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে দেশের ১৫টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম থেকে শেখ হাসিনা, তাঁর স্বজন ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নাম সরিয়ে দিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এই উদ্যোগ নেয় এবং ৬ মে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন নাম অনুযায়ী মূল ফটকের সাইনবোর্ড, অফিসিয়াল কাগজপত্র এবং ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। আদেশটি ‘অত্যন্ত জরুরি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ‘শেখ কামাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন থেকে ‘বালিয়াকান্দি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নামে পরিচিত হবে। একইভাবে, টুঙ্গিপাড়ার ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘টুঙ্গিপাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ রাখা হয়েছে। বরগুনার আমতলির ‘শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন ‘আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ হিসেবে চালু থাকবে। পাবনার সাঁথিয়ায় ‘শহীদ শেখ রাসেল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নতুন নাম ‘সাঁথিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।
এই তালিকায় আরও রয়েছে ফরিদপুর, শরীয়তপুর, নওগাঁ, যশোর, জামালপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’-এর নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘ঠাকুরগাঁও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’। এসব নাম পরিবর্তনের ফলে শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, আবদুর রাজ্জাক, ওয়াজেদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম খোকা, আবু শারাফ সাদেকসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম বাদ পড়েছে।
এর আগেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ২৪ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। তারও আগে ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৬টি মেডিকেল কলেজ এবং ১৪টি হাসপাতালের নাম থেকেও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট নেতাদের নাম সরিয়ে ফেলা হয়।
এএইচএ