
ছবি: সংগৃহীত
নিজের বাবাকে হত্যার পর জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন জান্নাত জাহান শিফা নামের এক তরুণী। পরে ফেসবুক লাইভে এসে হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ পেছনের কাহিনি প্রকাশ করেন তিনি।
নিহত আবদুস সাত্তার ছিলেন জান্নাতের biological (জৈবিক) বাবা। জানা গেছে, ২০২২ সালে শিফা নিজ বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সিংড়া থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় সাত্তার দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আবারও মেয়ের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন এবং মামলা তুলে নিতে তাকে চাপ দিতে থাকেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে শিফা ভাতের সঙ্গে বিশটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাইয়ে অচেতন করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর ফেসবুক লাইভে এসে শিফা বলেন, “কইছিলাম তোর রক্ত দিয়া গোসল করমু। দেখ, মইরা গেছোস। মেয়েদের র্যাপ করার সময় ভিডিও করার খুব শখ ছিল না তোর? আজ তোর ভিডিওই করা হচ্ছে। আমার ভিডিও কোথায় ভাইরাল করে দিবি বলছিলি না?”
ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শিফা ও তার বাবা সাত্তার একসঙ্গেই বাসায় থাকতেন। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে সাত্তারের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন ছিল বহু আগে।
ঘটনার পর পুলিশ জান্নাত জাহান শিফাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=1050201180311849&rdid=Qd3UfpFGJ0xQP5Zz
এএইচএ