
ছবি: সংগৃহীত
সকালের নাশতা দীর্ঘদিন ধরেই 'দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার' হিসেবে বিবেচিত। কারণ এটি শুধু ক্ষুধা মেটায় না, বরং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে ও সারাদিনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে, হৃদরোগ প্রতিরোধে সকালের সঠিক নাশতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি কার্ডিয়াক অ্যান্ড ভাস্কুলার ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজিস্ট ডা. সারজিউ ডারাবান্ত এমন দুইটি সকালের খাবার সুপারিশ করেছেন, যেগুলো হৃদয়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী—একটি ঝাল বা স্যাভরি, আরেকটি মিষ্টি স্বাদের।
১) অ্যাভোকাডো টোস্ট, পালং ও পোচড ডিম
উপকরণ
- ১ স্লাইস হোল গ্রেইন বা গমের রুটি
- আধা অ্যাভোকাডো, চটকানো
- কিছু পালং শাকের পাতা
- ১টি পোচড ডিম (বা ভেগানদের জন্য টোফু স্ক্র্যাম্বল)
- সামান্য ফ্ল্যাক্সসিড বা চিয়াসিড
- এক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
তৈরি প্রণালী
রুটিটিকে টোস্ট করে তাতে অ্যাভোকাডো, পালং শাক ও ডিম সাজিয়ে দিন। এরপর উপরে সিড ছিটিয়ে সামান্য অলিভ অয়েল দিন।
উপকারিতা
অ্যাভোকাডোতে থাকা ওলেইক অ্যাসিড রক্তনালির কার্যকারিতা বাড়ায় ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। হোল গ্রেইন ফাইবার সরবরাহ করে, ডিম প্রোটিন দেয়, এবং ফ্ল্যাক্সসিড বা চিয়াসিড থেকে মেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২।ওটমিল, বেরি, বাদাম ও সামান্য মধু
উপকরণ
- রোলড ওটস বা স্টিল কাট ওটস
- বাদাম দুধ/সয়া দুধ/লো-ফ্যাট গরুর দুধ
- তাজা ব্লুবেরি বা স্ট্রবেরি
- একমুঠো আখরোট বা আমন্ড
- সামান্য মধু বা ম্যাপেল সিরাপ (ঐচ্ছিক)
- এক চিমটি দারচিনি
তৈরি প্রণালী
ওটস রান্না করে দুধে ফুটিয়ে নিন। এরপর বেরি, বাদাম ও মধু যোগ করে দারচিনি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
উপকারিতা
ওটসের বিটা-গ্লুকান ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। বেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরে প্রদাহ কমায়। বাদাম ওমেগা-৩ এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সরবরাহ করে। দারচিনি ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে।
মুমু ২