
ছবি: জনকণ্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার প্রায় পৌণে সাত ঘন্টা পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ শুরু হয়। শনিবার ভোর ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার একঘন্টা পর একইস্থানে লাইনচ্যুত হয় আন্তঃনগর ট্রেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুই দফায় প্রায় ১০ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়।
দুর্ঘটনার কারণে উভয় পথের তুর্ণা নিশিথা, উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইলসহ বিভিন্ন ট্রেন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তবে ভৈরব ও আশুগঞ্জ স্টেশনে যাত্রীদেরকে শুকনো খাবার ও পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে আসা ৬০৩ নং মালবাহী ট্রেনের একটি বগি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে পৈরতলা রেলক্রসিংয়ের সামনে লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির সামনের অংশ রাত ১২টার দিকে সামনে দিকে চালানো হয়। পরে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। ভোরে পৌনে পাঁচটায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে সকাল ছয়টার দিকে একইস্থানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটির পিছনের দিকের গার্ডব্র্যাক লাইন থেকে সরে যায়। গার্ডব্র্যাক রেখে কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি চলে যায়। পরে বগিটি উদ্ধার করে সরিয়ে নেওয়া হয়। বেলা পৌনে নয়টার দিকে ডাউন লাইনে ফের চলাচল শুরু হয়। তবে পরবর্তী দুর্ঘটনার পর আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো।
স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এরপর লাইন ক্লিয়ার হলে ভোর ৫টা থেকে আপ ও ডাউন লাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। কিছুক্ষণ পর একইস্থানে ডাউন লাইনে কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।
এএইচএ