
সাধারণত দৃশ্যপটের আড়ালে থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। তবে কাশ্মীরকে ঘিরে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এখন তিনিই পাকিস্তানের কণ্ঠস্বর হয়ে কঠোর ভাষায় বার্তা দিচ্ছেন।
এই তো কিছুদিন আগেও পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী এ ব্যক্তি পর্দার আড়ালেই থাকতে পছন্দ করতেন। তিনি জনসমক্ষে নিজের ভাবমূর্তি কঠোরভাবে বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর বক্তব্যগুলো সামরিক অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক ছিল। পূর্বনির্ধারিত ও পরিকল্পিত ভাষণেই সেগুলো সীমাবদ্ধ থাকত।
এবার ভারতের গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, আসিম মুনীরকে সরিয়ে পাক সেনাপ্রধান হিসেবে সাহির শামশাদ মির্জা কে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
‘অপারেশন সিঁদুরে’ একেবারে তছনছ ভারত-পাকিস্তানের একাধিক জায়গা। এমনকি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় করাচি, লাহোরের মতো শহরেও আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা।
এসব হামলার জবাব দিতে থেমে থাকেনি পাকিস্তানও। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, ভারতে পাকিস্তানের ৭৭টি ড্রোন হামলা করেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাও উঠে এসেছে।
কে হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান? যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই কেন তাঁর উপরেই ভরসা রাখল পাক সরকার?
শোনা যাচ্ছে, সাহির শামশাদ মির্জা পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের খুবই ঘনিষ্ঠ। জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির (CJCSC) চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরেই জল্পনা ছিল যে তিনি পাকিস্তান সেনার দায়িত্ব নিতে পারেন। কিন্তু তা হয়নি। আসিম মুনীর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। অন্যদিকে পাক প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এই সেনা আধিকারিক ডায়রেক্টর জেনারেল মিলিট্রি অপারেশন পদেও কাজ করেছেন।
পাকিস্তানের ভূমিপুত্র শামশাদ মির্জা। রিপোর্ট বলছে, ছোটবেলায় বাবা-মা কে হারান তিনি। দীর্ঘ সময় সিন্ধু রেজিমেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন মির্জা। শাহবাজের সঙ্গে তাঁর একটা আলাদা সম্পর্ক রয়েছে।
যদিও পাকিস্তানের গণমাধ্যম বা সরকার থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি দেওয়া হয় নি এ বিষয়ে।
ফুয়াদ