
ছবি: সংগৃহীত
রাতভর সংঘর্ষের পরও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ নেই। উভয় দেশ নিজেদের সামরিক বাহিনীর কৃতিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (NSC) সেনাবাহিনীকে ভারতীয় হামলার জবাবে "সময়, স্থান এবং পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানানোর পূর্ণ স্বাধীনতা" দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই আক্রমণকে “পাকিস্তানের ভূখণ্ড এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি আগ্রাসন” বলে অভিহিত করেন এবং এর নিন্দা জানান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানান, ভারতীয় হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তাঁর দাবি, ভারতের ৭৫টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে মাত্র ৫টি ভূপাতিত করা হয়েছে, যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রমাণ।
অন্যদিকে, ভারত এ অভিযানের নাম দিয়েছে "অপারেশন সিন্দুর"। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের গর্ব" বলে আখ্যায়িত করেন এবং জানান, ভারত তার লড়াই অব্যাহত রাখবে। এ ঘটনায় তিনি তাঁর আসন্ন ক্রোয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়ে সফর বাতিল করেছেন।
ভারতের সামরিক বাহিনী একাধিক হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে, অপারেশন চালানো হয়েছে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে। পররাষ্ট্র সচিবের মতে, এসব গোষ্ঠীর কার্যক্রম ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পর্যবেক্ষণে ছিল এবং ভবিষ্যৎ আন্তঃসীমান্ত হুমকি প্রতিরোধের জন্যই অভিযানটি চালানো হয়েছে।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল জানান, নয়াদিল্লি উত্তেজনা বাড়াতে চায় না, তবে যে কোনো আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী।
এফএ