সোমবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) কর্তৃক আয়োজিত ’বিদ্যুৎ রুপান্তর কোন পথে’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
কস্ট প্লাস নয় বরং কষ্টভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পরিচালনার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলোসহ এনার্জি খাতের সব পর্যায়ে ব্যয়হার ও মূল্যহার গণশুনানির ভিত্তিতে বিইআরসি নির্ধারণ করতে হবে। শুধু তাই নয় ২০১২ সাল থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্যহার নির্ধারণ সংক্রান্ত আটকে রাখা ৩টা প্রবিধান কোনোরকম পরিবর্তন না করে অবিলম্বে গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) কর্তৃক আয়োজিত 'বিদ্যুৎ রুপান্তর কোন পথে' শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। এসময় বক্তারা বলেন, মেগা নয় বরং ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ শিল্প, কর্মসংস্থান ও দেশীয় উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বটোম আপ এপ্রোচে সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের উন্নয়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ ও বিইআরসি আইন ২০০৩ এর আওতায় জ্বালানি অপরাধীদের বিচার করতে হবে।
এর বাইরেও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং সরকারি কোম্পানি/সংস্থাগুলোর চেয়ারম্যান, সদস্য ও শীর্ষ পদগুলোতে নিয়োগ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে করার লক্ষ্যে এক বা একাধিক প্রবিধাম প্রণয়ন ও বিইআরসি আইন সংস্কার করতে হবে।
জনগণের কল্যাণে জ্বালানি আইন বাস্তবায়নেরও তাগিদ দেন তারা।
এসময় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, দার্শনিক ও মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
টুম্পা