
বিমূর্ততা শীর্ষক প্রদর্শনীতে ছবি দেখছেন
রঙের বৈভবে ক্যানভাস সাজানো এক চিত্রকর লিয়াকত আলী। এই শিল্পীর বর্ণবহুল চিত্রপটে বাস্তবতাকে ছাপিয়ে প্রাধান্য পায় কাল্পনিক ভুবন। যেখানে কিনা নির্দিষ্ট বিষয়ের চেয়ে চিত্রকর্মের আঙ্গিক হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ। আর সেসব ছবির বর্ণের ব্যবহার মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেন শিল্পরসিকের নয়নে। চঞ্চলতার ঢেউ বয়ে যায় অন্তরে। বিমূর্ত আঙ্গিকে চিত্রিত এই শিল্পীর তেমন কিছু চিত্রকর্ম ঝুলছে ফরাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারির দেয়ালে। ভাল লাগার অনুভবময় প্রদর্শনীটির শিরোনাম ‘ছন্দময় বিমূর্ততা’।
প্রদর্শনীর চিত্রকর্ম নিজের কাজের ধারা প্রসঙ্গে লিয়াকত আলী বলেন, বিমূর্ত ধারায় কাজের মাঝে ভিন্ন রকম আনন্দ খুঁজে পাই। আর বিমূর্তের মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পেতে কখনও কখনও আমি কল্পনার পথরেখায় ধাবিত হই। একটি বিমূর্ততার ফলাফল সম্ভবত মানুষের সুখ এক ধরনের বাদ্যযন্ত্রের অলঙ্করণ যা সঙ্গীত এবং আনন্দে ভরা হৃদয়। আমি যখন আমার চিত্রকর্মে হৃদয় ও সঙ্গীত এঁকেছিলাম, তখন এটি ছিল আমার চিত্রকলার জীবনের শুরু। দর্শকরা আমার চিত্রকর্মের মাঝে প্রতিমূর্তি নির্মাণের স্বাদ খুঁজে পেতে পারেন।
পেইন্টিংয়ের মেজাজ ছবিটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে এবং সঙ্গীত চিত্রগুলোতে একটি নতুন মেজাজ দিতে পারে যা সমসাময়িক প্ল্যাটফর্মে বিমূর্ত চিত্রগুলোর জন্য একটি নতুন শৈলী হতে পারে, যা ছন্দময় বিমূর্ততার মতো দেখায়।
শিল্পী লিয়াকত আলীর কাজ ইতোপূর্বে জাপান, কানাডা, যুক্তরাজ্য, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে একক ও দলীয় প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে। লিয়াকত চায়না ন্যাশনাল ফাইন আর্টস একাডেমি, হ্যাংজু থেকে অঙ্কন ও চিত্রকলায় বিএফএ সম্পন্ন করেছেন। বিমূর্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে সম্প্রীতির সন্ধান করেছেন এই শিল্পী। ছন্দময় বিমূর্ততা বা রিদমিক এ্যাবস্ট্রাকশন তার অষ্টম একক প্রদর্শনী।
গত ৫ আগস্ট সূচনা হওয়া সূচনা হওয়া প্রদর্শনীটি শেষ দিন আগামীকাল শনিবার। বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।