ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অবশেষে পর্দা উঠল টোকিও অলিম্পিকের

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৩ জুলাই ২০২১

অবশেষে পর্দা উঠল টোকিও অলিম্পিকের

অনলাইন ডেস্ক ॥ আলোচনা, সমালোচনা, প্রশ্ন-ক্ষোভ সব কিছু সঙ্গে নিয়ে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠল টোকিও অলিম্পিকের। গত বছরই মাঠে গড়ানোর কথা ছিল অলিম্পিক গেমসের এবারের আসর। কিন্তু করোনাভাইরাসের থাবায় এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয় আসর। তবে, এখনও এ আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন থেমে নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করে বাড়তে থাকায় টোকিওতে আসরটি আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ জাপানিরাই। শঙ্কা জেগেছিল শেষ মুহূর্তে সবকিছু ভেস্তে যাওয়ার। কিন্তু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেই শঙ্কার অবসান হলো। মার্চ পাস্টে সবার আগে ছিল গ্রিস, যারা অলিম্পিক গেমসের প্রথম আয়োজক। এরপর অলিম্পিকের রিফিউজি দল এবং সবশেষে আসে স্বাগতিক জাপান দল। সব মিলিয়ে ২০৭টি দেশ এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্যালারিতে ছিল না সাধারণ দর্শক। ২০৭টি দেশের অ্যাথলেট, কোচ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো এবং এক হাজার ভিআইপি। বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের হয়ে এই আসরে অংশ নেবেন মোট ৬ অ্যাথলেট। বাকিরা হলেন সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ, দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী, স্প্রিন্টার জহির রায়হান ও শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি। মার্চ পাস্ট শুরুর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শান্তিতে নোবেল জয়ী বাংলাদেশি মোহাম্মদ ইউনুস। তখন তার হাতে ছিল অলিম্পিকের লোগো সংবলিত অলিম্পিক লরেল। টোকিওর আসরের শুভকামনা জানান তিনি। করোনাভাইরাসের থাবায় এখন বিপর্যস্ত সরাবিশ্ব। ঘরবন্দি মানুষ। এই কঠিন সময়ে অ্যাথলেটদের কিভাবে কাটাতে হয়েছে, প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, তা তুলে ধরেন তোসুবাতা আরিসা; যিনি একই সঙ্গে নার্স ও বক্সার। ফিট থাকতে একাকী ট্রেড মিলে দৌড়েছেন আর্সিয়া; যার মধ্যে ফুটে উঠেছে করোনার মহামারীর সময়ে সারা বিশ্বের অ্যাথলেটরা ঘরে একা অনুশীলন চালিয়ে যেতে কতটা কষ্ট করেছেন। টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আনা হয় অলিম্পিক রিং। তাতে ফিরে আসে টোকিওর ১৯৬৪ আসরের স্সৃতিও। অলিম্পিক রিংয়ের সাতটি বৃত্ত তৈরি করা হয়েছে সেই গাছের কাঠ দিয়ে, যে গাছগুলো ১৯৬৪ সালের অ্যাথলেটরা লাগিয়েছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাপানের সম্রাট নারুহিতো। ১৯৬৪ সালে অলিম্পিকের উদ্বোধন করেছিলেন তার দাদা সম্রাট হিরোহিতো। উপস্থিত আছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
×