ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ২১:০২, ৯ এপ্রিল ২০২১

সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে পাকিস্তানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম একদিনের ম্যাচের পর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাবর আজমের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জেতা সফরকারীদের দুর্লভ অর্জন। যে সাফল্য দুইবার উদযাপন করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সেই কৃতিত্বে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ভাগ বসালো পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুইবার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নজির গড়লো তারা। তিন ম্যাচের সিরিজে ২০১৩ সালের সফরের মতো এবারও ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। সফরে দাপুটে পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটে-বলে চমকপ্রদ পারফর্ম করেছে তারা। দলের এমন পারফর্মেন্সে দারুণ খুশি অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি জানান, এই জয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বহুগুণে। এ প্রসঙ্গে ম্যাচের পর বাবর আজম বলেন, ‘এই ম্যাচটা ছিল আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর একটা ম্যাচ। জয় পাওয়ায় আমাদের আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বেড়েছে।’ ওয়ানডের পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে সফরকারীরা। শনিবার জোহানেসবার্গের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টি-২০ সিরিজের লড়াই। বাবর আজম জানান ওয়ানডে সিরিজ জিতে পাওয়া আত্মবিশ্বাস টি-২০ সিরিজ জিততেও কাজে লাগবে। তার মতে ‘এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই টি-২০ সিরিজের মিশন শুরু করতে চাই। ওয়ানডের মতো টি২০ সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামব আমরা।’ সেঞ্চুরিয়নে শেষ ওয়ানডেতে ৮২ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেছেন বাবর। যে কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা নিজের শোকেসে তুলে নেন পাক অধিনায়ক। তবে ১০১ বলে ১০৪ রানের ফখর জামানের ইনিংসটিও ছিল পাকিস্তানের জয়ের পেছনে মূলভিত্তি। এর আগে জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯৩ রানের অবিস্মরণীয় এক ইনিংসও উপহার দিয়েছিলেন তিনি। যার পুরস্কার হিসেবে সিরিজসেরা হন ফখর জামান। এই সফরে কেমন পরিকল্পনা ছিল তার? এমন প্রশ্নের জবাবে ফখর জামান বলেন, ‘আমার খুব সাদামাটা পরিকল্পনা ছিল। প্রথম ১০ ওভার খুব স্বাভাবিক খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি। কেননা এই মাঠগুলোতে সকাল বেলা নতুন দুই বলে খেলাটা মোটেও সহজ নয়।’ আজ থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় ঘরোয়া লীগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল)। যে কারণে সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের শেষ ম্যাচে তারকা ক্রিকেটারদের পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও আনরিখ নর্কিয়ার অনুপস্থিতিতে দুর্বল বোলিং লাইনআপকে সামলে ৭ উইকেটে ৩২০ রান করে অতিথিরা। ফখর জামানের টানা সেঞ্চুরি আর বাবর ও ইমাম উল হকের ফিফটির পর হাসান আলীর ছোট্ট ঝড় দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দেয়। যা তাড়া করতে গিয়ে ২৯২ রানে অলআউট স্বাগতিক দল। ২৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। এমন ফলাফলে চরম হতাশ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার। তবে সফরকারীদের পারফর্মেন্সের ভূয়সী প্রশংসা করতে মোটেও ভুল করেননি তিনি। ম্যাচের শেষে বাউচার বলেন, ‘নিজের হোম কন্ডিশনে আমরা কখনই সিরিজ হারাতে চাই না। কিন্তু পুরো সিরিজেই পাকিস্তান দল খুব ভাল খেলেছে।’
×