ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দামে স্বস্তিতে খুশি ভোক্তারা

শীতের সবজিতে ভরে গেছে কাঁচা বাজার

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

শীতের সবজিতে ভরে গেছে কাঁচা বাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শীতের সবজিতে ভরে উঠেছে রাজধানীর কাঁচা বাজার। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে নগরীর গলি গলিতে ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে টাটকা সব সবজি। দাম কম হওয়ায় খুশি ভোক্তারা। বাজারে ফিরে এসেছে স্বস্তি। ফুলকপি-বাধাকপি, শিম, লাউ, মূলা, গাজর মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে। উঠেছে নতুন আলু ও পাতা পেঁয়াজ। তবে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। চাল, আটা চিনি ও ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কমেছে পেঁয়াজের দাম। ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মাছ-মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এবং গোড়ান বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সপ্তাহখানেক আগে যেসব সবজির দাম ৮০-১০০ টাকা কেজি ছিল এখন সেই সব সবজি প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর কাওরান বাজারে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। অথচ নবেম্বরের মাঝামাঝি সময়েও এই সবজির কেজি ১২০ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। শিমের পাশাপাশি শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামও কমেছে। বড় একটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। আর গত সপ্তাহে ছোট যে ফুলকপি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন ১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাজারে এখন বড় ফুলকপির সরবরাহ বেশি। মাঝারি আকারের বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুলার দাম কমে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তিন সপ্তাহ আগে মুলার কেজি ৫০-৬০ টাকা ছিল। শীতের আরেক সবজি শালগমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৭০ টাকা। আর কিছুদিন আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া লাউ এখন ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম কমে ৪০-৫০ টাকায় নেমে এসেছে। কাওরানা বাজারে মতো ঢাকার সব খানেই সবজির দাম কম। কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল সেক বলেন, বাজাওে প্রতিনিয়ত শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। যে কারণে দাম কমেছে। সামনে সবজির দাম আরও কমবে। তিনি বলেন, শীতের সবজির সরবরাজ প্রতিদিন বাড়ছে। ক্রেতারা এখন কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। ওই বাজারের সবজি ক্রেতা সালাম বলেন, দাম কম হওয়ায় এখন বেশি করে সবজি কেনা যায়। শীতের সবজির স্বাদ ভাল হওয়ায় এখন বেশি করে সবজি কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন দাম কমে আসায় স্বস্তি বিরাজ করছে। সবজির দাম কমলেও গোল আলু বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। প্রতিকেজি গোল আলু ৪০-৪৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। দাম কমেছে পেঁয়াজেরও। গত সপ্তাহে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগে দেশি পেঁয়াজ কেজি ৯০ টাকা ছিল। আর আমদানি করা পেঁয়াজ এখন ৩০-৪০ কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। এছাড়া বাজারে নতুন পাতা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা দরে। প্রতিডজন মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১১০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে দেশী মাছের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিকেজি শৌল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। এছাড়া চিংড়ি ৬০০-১২০০ টাকা, ইলিশ আকারভেদে ৬০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে প্রতিলিটারের পাঁচলিটারের সয়াবিনের বোতল ৫১০-৫৩০, প্রতিলিটার ১০০-১০৫, পামওয়েল লুজ ৯১-৯২ এবং পামওয়েল সুপার ৯৪-৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×