ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:১১, ৩০ জুলাই ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

সেদিন ওয়াশরুমে বড় বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম। কল খুলে দেখি এক ফোঁটা পানিও নেই। সচরাচর এমন হয় না। কলে পানি না থাকলেও সাবধানের মার নেইÑ কথাটিকে আপ্তবাক্য ধরে নিয়ে বালতিতে তোলা থাকে কিছু জল। কিন্তু সেদিন বালতিও খালি। পানির এত অপচয় আমরা করি যে কখনও বুঝি না যে পানির মূল্য কত। ভাবি পানির দামেই তো পানি পাওয়া যাচ্ছে। কিছু দিন আগে এই ঢাকা শহরের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটা সমীক্ষা প্রকাশিত হযেছিল। সেখানে উঠে এসেছে অবাক করা সব তথ্য। ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানির ব্যাপক অপচয় করছেন সমাজের বিত্তবানরা। এতে পানির সঙ্কটে আছেন নিম্নবিত্তরা। তারা প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পাচ্ছেন না। পানির ব্যবহারে এই অসমতা উঠে এসেছে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) একটি গবেষণায়। গবেষণায় বলা হয়, জনপ্রতি প্রতিদিন পানির ব্যবহার হওয়া উচিত ১৫০ লিটার। কিন্তু বস্তি এলাকার বাইরে যাঁরা থাকেন, তাঁরা প্রতিদিন গড়ে ৩১০ লিটার করে পানি ব্যবহার করেন। সবচেয়ে বেশি পানির ব্যবহার হয় গুলশান-বনানী এলাকায়। এসব এলাকার বাসিন্দারা গড়ে ৫০৯ লিটার করে পানি ব্যবহার করেন। আর বস্তির বাসিন্দা বা নিম্ন আয়ের মানুষ প্রতিদিন মাথাপিছু মাত্র ৮৫ লিটার পানি ব্যবহার করে। আরেকটি তথ্যে আমাদের সমাজচিত্রও ফুটে উঠেছে সুন্দরভাবে। মানুষের আয়ের সঙ্গে পানি ব্যবহারের পারস্পরিক সম্পর্ক সেটি। যাঁদের মাথাপিছু আয় ৯ হাজার টাকার বেশি, তাঁরা শৌচাগারে ফ্লাশ ও গোসলের সময় ঝরনা ব্যবহার করেন। যাঁদের মাথাপিছু মাসিক আয় তিন হাজার টাকা করে, তাঁরা বেশি আয়ের লোকদের তুলনায় দৈনিক গড়ে ১০০ লিটার কম পানি ব্যবহার করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে পানির সঙ্কটে ভোগে। অথচ উচ্চবিত্তরা যে হারে পানির বিল দেয়, তারাও সেই হারে বিল দেয়। পানি ব্যবহারের এই অসমতা ঠেকাতে এবং অপচয় বন্ধ করতে গবেষণাটিতে বিদ্যুতের বিলের মতো বেশি ব্যবহারে বেশি বিল ধরার সুপারিশ করা হয়েছে। সাধু। ডেঙ্গু : আতঙ্ক দূর করার চ্যালেঞ্জ প্রতিদিনই ডেঙ্গু সমস্যা গণমাধ্যমের শীর্ষ শিরোনাম হচ্ছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত বছর জুলাই মাসে যেখানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজারেরও কম, সেখানে এ বছর একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গু রোগের ধরন পাল্টানোর যে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞরা করছেন, তাও কম উদ্বেগের নয়। কে না জানে যে, রোগের লক্ষণ পাল্টে গেলে সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কিন্তু গুরুতর এই পরিস্থিতি সংশ্লিষ্টরা কতটা গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করতে পারছেন, সেই সন্দেহ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। আমরা গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সঙ্গে দেখছি- ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সর্বাত্মক সক্রিয়তা প্রত্যাশিত, তখন এর কর্তাব্যক্তিরা নানা মুখরোচক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। উচ্চ আদালত যথার্থই বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় এখন যৌথ অভিযানে নামতে হবে। মনে রাখা জরুরী, এই সঙ্কট একদিনে প্রকট হয়নি; কেবল এক সংস্থা মোকাবেলাও করতে পারবে না। সরকারের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এমনকি রাজনৈতিক সংগঠনগুলোরও এগিয়ে আসা তাই এখন সময়ের দাবি। ঢাকাবাসী তথা ডেঙ্গু আক্রান্ত জেলাগুলোর মানুষ চায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কথা না বাড়িয়ে কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন। কত অল্প সময়ের মধ্যে মশা মারা যায় সে জন্য জোরদার লড়াই চালাতে হবে। ইতোমধ্যে যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তাদের চিকিৎসার যেন কোন ত্রুটি না হয়। আর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দূর করার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন বাগাড়ম্বর এবং দায়িত্ব এড়ানোর সামান্যতম সুযোগ নেই। জনস্বার্থে ব্লগার আরিফ জেবতিকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ সংক্রান্ত পোস্টটি শেয়ার করছি এখানে। তিনি লিখেছেন : ‘এডিস মশা জন্মস্থানের ১৫০ মিটারের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে, এর বেশি যেতে পারে না। তাই আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসস্থান আর অফিসের ১৫০ মিটার পর্যন্ত পরিষ্কার করে ফেলতে পারি, তা হলে আমরা নিরাপদ থাকতে পারি এবং ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটাই কমে আসবে। সিটি কর্পোরেশন যে ট্রাডিশনাল পদ্ধতিতে মশা মারছে সেটা এডিসের ক্ষেত্রে কাজে আসবে না। কারণ এডিস মশা জন্মায় পরিষ্কার পানিতে, নোংরা নালা-ডোবায় অষুধ ছিটিয়ে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। সিটি কর্পোরেশন যেসব কাজ করতে পারে: ১. ডেঙ্গু সচেতনতায় আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রতিটি স্কুলের টিচাররা ব্রিফিং করে বোঝাবেন যে সবার বাসার আশপাশ এবং ভেতরে যাতে কোন পাত্র বা পাত্রসদৃশ জায়গায় পানি জমে না থাকে। বাচ্চারা নিজ নিজ বাসায় গিয়ে তখন উৎসাহের সঙ্গে এই কাজ করবে। বাচ্চারা যদি পথে নেমে ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে পারে, তা হলে এই কাজও ভালভাবে করবে। শুধু তাঁদের যথেষ্ট অনুপ্রেরণা দিতে হবে। যেহেতু খুব সকালে আর সন্ধ্যায় এ মশা আক্রমণ করে, তাই স্কুলের টাইমিং এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়া যায় কি না বিবেচনা করা যেতে পারে। ২. বিভিন্ন এলাকার সোসাইটি এবং সমিতির নেতৃবৃন্দকে ডেকে মেয়র অনুরোধ করবেন যে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে এলাকার পার্ক, রাস্তাঘাট এসব এলাকার ফেলে রাখা টায়ার, বোতল, পাত্র, ভাঙ্গা টব এসব যাতে পরিষ্কার করে নেন। এসব সোসাইটি এবং সমিতিকে এ কাজে প্রণোদনা দেয়া যেতে পারে বা আর্থিক সহায়তা করা যেতে পারে। এসব সমিতি/ সোসাইটিকে একটা সুন্দর ধন্যবাদ পত্র আর ক্রেস্ট দিলেই তাঁরা অনুপ্রাণিত হবেন। ৩. মসজিদ কমিটি এবং ইমামদের নিয়ে বৈঠক করে অনুরোধ করা যেতে পারে যে প্রতিটি নামাজের আগে, বিশেষ করে জুমার নামাজের খুতবায় এ বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বয়ান করতে। জুমাবার হচ্ছে কমিউনিটির একসঙ্গে হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ, এই সময় মসজিদগুলোতে ভালভাবে বোঝালে সেটি কাজে লাগবে। ৪. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো, চেম্বার, ব্যবসায়ী সমিতি, ব্যাংক এ্যাসোসিয়েশন, বিজিএমইএ ইত্যাদি সব ব্যবসায়ী সংগঠনকে অনুরোধ করা যেতে পারে যে তাঁরা নিজ নিজ অফিস পরিষ্কার রাখেন এবং তাঁদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুরোধ করেন যাতে করে বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখেন। ৫. এডিস মশার সবচেয়ে বড় উৎসস্থল হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনগুলো। এই নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে নানা খানাখন্দ থাকে যেখানে বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশা জন্মাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় এলকাবাসী এবং রিহাবকে সচেতন করা যেতে পারে। ডেঙ্গু একটু সঙ্কট। একে অস্বীকার করে দিনে ৩ বার সাংবাদিকদের সামনে জাবর কেটে মেয়র মহোদয়রা আদতে গালি খাওয়া ছাড়া কোন উপকার পাচ্ছেন না। বড় বড় ব্যানারে ‘ডেঙ্গু রেলি’ নাম দিয়ে যা করা হচ্ছে তা স্রেফ ফাজলামো। নগরের এই গুরুতর সঙ্কটে এসব ফাজলামো করা হচ্ছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার বড় উদাহরণ, আর কিছু নয়। তার চাইতে আমাদের মেয়রদের উচিত হবে এ্যাকশন দেখানো। এখন হচ্ছে এ্যাকশনের সময়। ঠাস ঠাস করে যে শব্দ হচ্ছে সেটি মশা মারার শব্দ হোক, কর্তাব্যক্তিদের গালে চড় মারার শব্দ নয়।’ এই লেখা লিখতে লিখতেই ভাল খবর পেলাম। স্বাস্থ্য অধিদফতর একটি ভাল কাজ করেছে। বেসরকারী হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার জন্য মূল্য বেঁধে দিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য টেস্টসমূহের সর্বোচ্চ মূল্য এখন ৫০০ টাকা। ঢাকায় শুভেন্দু মাইতি কৃষ্টি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বন্ধুবর এনায়েত কবীর রাজশাহী যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানেই প্রথম অনুষ্ঠান করেন ভারতের লোকসঙ্গীত গবেষক ও শিল্পী শুভেন্দু মাইতি। ঢাকাতেই অনুষ্ঠান হবে, সেখানে যাওয়া যাবে। এসব ভেবে রাজশাহী যাওয়া হয়নি। ‘গান গেয়ে নয়, গান জড়িয়ে’ বেঁচে থাকার গল্প শোনালেন জীবনে ‘কিছুই হতে না চাওয়া’ শিল্পী শুভেন্দু মাইতি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে কৃষ্টি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলা গানের পরম্পরায় গান গল্পে’ শীর্ষক আয়োজনে শ্রোতাদের কমতি ছিল না। নিজেকে ‘গানের মজুর’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে মোদিনীপুরের নন্দীগ্রামে জন্ম নেয়া এ শিল্পী বলেন, ছোটবেলায় তার সহপাঠীরা যখন ডাক্তার, প্রকৌশলী আর বৈমানিক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তখন শিক্ষককে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘কিছু হব না, কিচ্ছু হব না’। ঢাকায় দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি লোকসঙ্গীতকে ‘আটপৌরে মায়ের’ সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘শাড়ির আঁচলে হলুদের দাগ লাগা আটপৌরে মাকে জিনস, টপ পরিয়ে, গায়ে সুগন্ধী লাগিয়ে রাস্তায় দাঁড় করালে হবে না।’ অনুষ্ঠানে শিল্পীর কথাগুলো তীব্র আবেদন জাগায়। বললেন, ‘লোক সংস্কৃতির মূলভিত্তি লালনের গান, হাছনের গান, রাধারমনের গান; এগুলোকে এখন বাজারে পণ্য হিসেবে মোড়কে বন্দী করে হাজির করানো হচ্ছে। লোক সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে না পারলে নাগরিক সংস্কৃতিটাও থাকবে না। শেকড়টা নষ্ট হয়ে গেলে শরীরটাও নষ্ট হয়ে যাবে।’ বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি বাঙালীর মাঝে লোকসঙ্গীত ছড়িয়ে দিতে ও লোকগানের মূল সুর-রক্ষা তথা গবেষণার জন্য ‘লালন আকাদেমি’ গড়েছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে ১০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা তিনজন বন্ধু বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে গান করতাম। আর গামছা পেতে চাঁদা তুলে যা পেতাম তা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঠাতাম। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ঘোষণা শুনলাম, তখন তা ছড়িয়ে গিয়েছিল আমাদের হাজারো মানুষের মধ্যে। দেশ যুদ্ধকে ভাগ করতে পারেনি, কারণ বাংলাদেশের যুদ্ধটা ছিল বাংলা ভাষার জন্য।’ অনুষ্ঠানে শুভেন্দু মাইতির স্ত্রী কবিতা আবৃত্তি করেন, কন্যা শোনান গান। কিছুটা সময়ের জন্যে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। সুযোগ পেয়ে স্যামুয়েল বেকেট এ্যাবসার্ড নাট্যকার হিসেবে পরিচিত স্যামুয়েল বেকেটের একটি নাটক (ওয়েটিং ফর গোডো) মঞ্চে এনেছিল নামী নাট্যদল নাগরিক। সে অনেককাল আগের কথা। এবার এই নাট্যকারের আরেকটি নাটক (হ্যাপি ডেজ) মঞ্চে এনেছে মনিপুরী থিয়েটার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের সহযোগিতায়। এটি একক অভিনয়সমৃদ্ধ নাটক। ফলে যিনি অভিনয় করবেন তাকে হতে হবে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন। ছয় মাস পর নাটকটির দুটি প্রদর্শনী হলো গত সপ্তাহে, আবার নাকি ছয় মাস প্রদর্শনী হবে না। দেশের অন্যতম নাট্যব্যক্তিত্ব সাঈদ আহমেদ বিটিভিতে বিশ্বনাটক নিয়ে অনুষ্ঠান করতেন। স্যামুয়েল বেকেটের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল। বেকেটের উপহার দেয়া বইও দেখেছি তাঁর কাছে। বেকেটের প্রতি আগ্রহ রয়েছে বলে সুযোগ পেয়ে নাটকটি দেখতে গিয়েছিলাম। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন আবার একজন কবি, শুভাশীষ সিনহা। অভিনয় করেছেন তাঁরই স্ত্রী। ভাল লেগেছে নাটকটি। জীবনের দীর্ঘ একটা সময় কাটিয়ে নিঃসঙ্গতায় স্বেচ্ছানির্বাসিত নারীর মনোজগতের অভিনব বয়ান রয়েছে নাটকে। অস্তিত্বের প্রয়োজন তথা চাহিদা যে অস্বীকার করার নয়, সেটিও প্রকাশিত নাটকে। অভিনয়শিল্পী বন্যা মির্জা নাটকটির প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি মুগ্ধ অভিনয়ে। জ্যোতি সিনহা একটা সম্পূর্ণ ঘণ্টা বেঁধে রাখলেন। দুই ভাষাতেই দারুণ সাবলীল অভিনয় করে গেলেন জ্যোতি- বাংলা ও ইংরেজী। এই দুটোর কোনটাই তার মাতৃভাষা না, ভাষার এই দক্ষতা অর্জন করতে হয়, তা করেছেন তিনি। আমি খুব আনন্দ নিয়ে নাটকটি দেখেছি, অনেকদিন পর অভিনয়ের পূর্ণ রস নিয়ে। আজকাল বারবার মনে হয় কোথাও গিয়ে সম্পূর্ণ হচ্ছে না। কাল তা পূর্ণ হয়েছে। মঞ্চে ‘হ্যাপি ডেজ’ নিশ্চিত এক অনন্য প্রযোজনা।’ ২৮ জুলাই ২০১৯ [email protected]
×