ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরীফা খন্দকার

‘শুনো নলিনী, খোলগো আঁখি’

প্রকাশিত: ১২:০১, ৮ মে ২০১৯

‘শুনো নলিনী, খোলগো আঁখি’

লোকে বলে তিনি ছিলেন কবির প্রথম প্রেম। অবাঙালী এই মেয়ের নাম ছিল অন্নাপূর্ণা। বাংলা উচ্চারণে যে নাম হয় অন্নপূর্ণা। তবে রবীন্দ্র জীবনীতে তিনি পরিচিত আন্না, আন্না তড়খড় নামে। পিতার নির্দেশে ব্যারিস্টারী পড়তে যাবার প্রস্তুতি সময়কালে সদ্য বিলেত প্রত্যাগত ইংরেজী আনায় চৌকস মারাঠি কুমারীটি এসেছিলেন সতেরো বছর বয়সের রবি কবির জীবনে। কবি তাকে নাম দিয়েছিলেন নলিনী অর্থাৎ পদ্ম। আন্নাদের বোম্বে গৃহের ইংরেজী কায়দায় সাজানো ড্রয়িং রুমের পিয়ানোতেই কি তরুণ কবি তাকে নিয়ে গেয়েছিলেন সদ্য রচিত এক গান? ‘শুনো নলিনী, খোলগো আঁখি ঘুম এখনো ভাঙিলো নাকি দেখো তোমারি দুয়ার’-পরে সখী এসেছে তোমারি রবি’ রবি ঠাকুর তার সমগ্র জীবনে যেমন লিখেছেন প্রেমের অসংখ্য গান, তেমনি লিখেছেন ঐশ্বরিক এবং মানুষের জন্য ভালবাসার সঙ্গীত। রবীন্দ্রনাথের সর্বমোট গানের সংখ্যা বলা হয়েছে দুই হাজার পাঁচশ’র বেশি। শুনেছি আজ পর্যন্ত বিশ্বের যাবতীয় কবি এবং গান রচয়িতার মধ্যে সম্ভবত নজরুল ইসলাম ছাড়া এই সংখ্যা কেউ অতিক্রম করতে পারেননি। প্রেমের যে গানগুলো তিনি লিখেছেন সেখানে নলিনী সম্বোধনটি শ্রোতারা শুনেছে অনেকবার। রবি ঠাকুর ‘নলিনী’ নামে একটি নাটকও লিখেছিলেন পরবর্তীকালে। বড় আশ্চর্যের মতো বইটির উৎসর্গের পাতাটিতে নাট্যকার একটি শব্দও না লিখে রেখে দিয়েছিলেন একেবারে শূন্য করে। এই উনিশ বছরের এই মারাঠি তরুণী কন্যাটি রবীন্দ্র জীবনের সঙ্গে গ্রন্থিত হয়ে আছেন একটি অবিস্মরণীয় উক্তির জন্য। রাজপুত্রসম টিনএজ তরুণ রবিকে আন্না বলেছিলেন, ‘তুমি তোমার এই সুন্দর মুখখানা দাড়ি গোঁফে ঢেকো না।’ অথচ বইয়ের প্রচ্ছদে পায়ের পাতা অবধি লম্বমান আলখাল্লা পরা যেন প্রাচীন পারস্যের একজন শ্মশ্রুম-িত সুফী কবির প্রতিকৃতি দেখিয়ে শৈশবের অক্ষরহীন বয়সে নানা আমাকে চেনা-জানা করিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে। আমার পারিপার্শ্বিকের ছোট বড় সবাই আন্নার দাড়িগোঁফহীন সুন্দর মুখের কবিকে কে কবে দেখেছে? আসলে তিনি বিশ্বকবি হিসেবে পরিচিতি পাবার আগে থেকেই ভক্তকুল সুদীর্ঘ সময় ধরে একই ভাবে দেখে এসেছেন তাকে। বাড়িতে নানার সঙ্গী-সাথীদের অধ্যাত্মবাদ নিয়ে আলোচনার জগতেও তিনি ছিলেন সুফী দরবেশ তুল্য এবং যাকে সম্বোধন করা হতো কবিগুরু বলে। কবি রূপী সেই গুরুর সঙ্গে কত কত দেশী বিদেশী কবিদের তুলনা হয়। তিনি সেখানে অভিষিক্ত হন রাজসিংহাসনে। সেখানে তাঁর কবিতার সঙ্গে উপনিষদ, সুফিবাদ, বৈষ্ণববাদ আসতো- আলোচনা হতো লালন, কবির, রামপ্রসাদ, বাউল গান প্রভৃতি নিয়ে। গম্ভীর সব আলোচনায় প্রবেশ করতে অক্ষম হলেও আমি ছিলাম সেই আসরের পরম আকাক্সিক্ষত জন। আলোচনা মগ্ন মানুষদের মুখে শুনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আরও কিছু নাম- কখনো রবি ঠাকুর, কখনো বিশ্বকবি কিংবা গুরুদেব ইত্যাদি। কিন্তু কোন ইংরেজ কবির কাব্য নানাদের তাত্ত্বিক আলোচনায় কদাচ আসতেন না। যদিও সে আসরে অবশ্য নয়। স্কুলের ওপর ক্লাসে গিয়ে জেনেছি ইউরোপীয় কাব্য জগতে- সমাজে ঈশ্বরবাদ পৌঁছে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথই তার নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতাঞ্জলি বইখানি দিয়ে। কবিতার দর্শন বোঝার বয়স আমার নয় কিন্তু কাব্যের ঝংকার সেটা হয়তো বোধ্য হয় জন্মের পর থেকেই। অসাধারণ আবৃত্তিকার আমার মাতামহের কণ্ঠে ধ্বনিত হতো নানা ভাষা ও ভাবের কবিতা- তিনি কখনও আবৃত্তি করতেন হাতে রাখা ‘সোনার তরী’ বইখানি থেকে- ‘শ্রাবণ গগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে। শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি- যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।’ তার পর সেই আসর ছেড়ে একসময় বিদায় নিয়ে চলে যেতে হলো স্কুলে ভর্তি হয়ে। সেখানে তিলে তিলে অনিচ্ছার সময় পার করবার দিনগুলোতে ‘পাঠশালা কারা’ ভাঙার চাবি নিয়ে মাঝে মাঝে রবি কবির গানের সুর যেন নিয়ে যেত অনন্ত আকাশে। যেটির নাম ছিল লিচুবাগান সেই বিদ্যালয়টি তখন অনেকটা ছোট এবং জুনিয়র হলেও ছিল রংপুরের সাংস্কৃতিক জগতের প্রাণকেন্দ্র। লিচুবাগানে ভর বছরে পয়লা বৈশাখ, বর্ষবরণ, রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম জয়ন্তী, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী, বার্ষিক নাটক, বসন্ত উৎসব এরকম নানা অনুষ্ঠান হতো প্রায়শই- আর বেশিরভাগই ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীতের ঝর্ণাধারায় স্নাত। হয়তো সেগুলোর মঞ্চায়ন হতো কেবল একদিনই কিন্তু এর জন্য রিহার্সেল চলতো মাসাধিকব্যাপী। ক্লাস থেকে খুব দূরে নয়, সেই রিহার্সেল কক্ষটা- গঙ্গাদি হারমোনিয়ামে সুর তুলে গাইছেন মেয়েরা কণ্ঠ মিলিয়েছে, নৃত্য পটিয়সী একদল বালিকা-কিশোরী নূপুরে ঝংকার তুলে সেই ছন্দে মেলাচ্ছে তাল। এ কথা বলতেই হবে, সেগুলো অসাধারণ অনুষ্ঠানে পরিণত হতো আমাদের প্রধান শিক্ষয়িত্রী উষা দিদিমণির উৎসাহে ও শহরের স্বনামখ্যাত সঙ্গীতশিক্ষিকা কণিকা রায়ের অবদানে। যিনি আবার আমাদের স্কুলের শিক্ষয়িত্রী গঙ্গা দিদিমণিও বটে। দিদিমণির একমাত্র সন্তান রথুদা- পরবর্তী সময়ে জাতীয় ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের ও স্বাধীন বাংলা বেতারের গায়ক অজিত রায় আসতেন রিহার্সেল দেখভাল করতে। মা ছিলেন স্কুলের দিদিমণি কিন্তু তার ছেলেও ছিল স্কুলের রথুদা! রংপুর শহরের রাজনীতিবিদ টিপাই দি ছিলেন অনুষ্ঠানগুলোর অন্যতম সংগঠক। বসন্ত উৎসবে তিনি বাড়ি বাড়ি থেকে আনিয়ে যোগান দিতেন অসংখ্য ফুলের। শিক্ষিকা রেনু আপা পিয়ারী আপাদের অনেক শ্রম থাকত এর অন্তরালে। অনুষ্ঠানগুলোর ভেতর আমার কাছে সবচাইতে আকর্ষণীয় ছিল বসন্ত উৎসব। এক মাসব্যাপী দিনগুলোতে মহড়া শুরু হতো টিফিনের ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে। রিহার্সেল রুম থেকে ভেসে আসা সঙ্গীতের ধ্বনিতে দুনিয়াটাই যেন হয়ে যেত তালগোল পাকানো। মনে পড়ে আমার চোখ ম্যাথ শিক্ষিকা বীনা দিদিমণির ব্ল্যাক বোর্ড আর চকের দিকে থাকলেও দুটো কান যে ছুটে গেছে রিহার্সেলের গানের বীণায়! সে শুনছে ‘আসে কোন তরুণ অশান্ত উড়ে বসনাঞ্চল প্রান্ত আলোকের নৃত্যে বনান্তে মুখরিত অধীর আনন্দে...’ ভণ্ডুল হয়ে যেত আমার সব হিসেবে নিকেশ-পুরো অঙ্কটাই হয়তো ভুলে ভরা!- ক্রুদ্ধ বীনা দিদিমণির হাতের বীনা মলে দিচ্ছে কান কিন্তু সে বেদনাবোধও বুঝি কর্ণের নেই। তারা তখন প্রতীক্ষা করছে কখন স্কুলের দফতরী শঙ্করদা বাজিয়ে দেবে টিফিনের ঘণ্টা আর ক্ষুধা তৃষ্ণা ভুলে পেছনের বেঞ্চে বসে তখন কেবলি গানের স্রোতে ভাসা। আমাদের উৎসবের দিনগুলো বিশেষতঃ বসন্তের উৎসব ছিল সত্যি অনন্য। এই সঙ্গে না বললে দোষের হবে যে আমার কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ঢাকার জীবনে এমন জাঁকজমকপূর্ণ বসন্ত উৎসব কখনও আসেনি। ফুলে ফুলে ঢলে পড়া বিশাল মঞ্চে একধারে সাথী বীথি ...আরও আরও গায়িকারা গাইছে গান ‘মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি কোন নবপল্লব ছন্দে ছন্দে ...’ আর সারা স্টেজটাই মাতিয়ে দিচ্ছে হলুদ লালে মেশানো ছাড়িয়ে থাকা ফুল, কুসুমিত বালিকা ও কিশোরী দল। ক’বছর পরে স্কুলটির নাম ও অবস্থান পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল সালেমা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে। সেখানে পাঠ্য জীবনের শেষ বছরেও উৎসবে ঘটেছিল সহপাঠী সাথীর অসাধারণ কণ্ঠের সঙ্গে ঘটেছিল আর এক সহপাঠী মঞ্জুর অনন্য নাচের যুগলবন্দী। আমার আজকের এই নিউইয়র্ক নগরে এখন একটু একটু করে আসছে বসন্তের ছোঁয়া। তার নবীন পাতা-কুসুমিত পুষ্পের সঙ্গে সঙ্গে আমি যোগ করি সেই সঙ্গীতময় নৃত্য দৃশ্যটাইÑ ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে একটুকু কথা শুনি তাই দিয়ে মনে মনে রুচি মম ফাল্গুনী। ...’ সে কথা ছেড়ে এবার আসি আমি আন্নার সেই রূপবান কবির কথায় যার দেখা পেয়েছিলাম অনেক দিনের পরে। বাংলা সাহিত্য পড়তে গিয়ে কোন এক বইতে দেখেছিলাম দাড়ি গোঁফহীন লম্বা চুলের অচেনা রবীন্দ্রনাথকে- তখনকার দিনের এক দুর্লভ ছবি। বর্তমানে অবশ্য ইন্টারনেটের কল্যাণে সেই দুর্লভ হয়েছে সহজ লভ্য। সে সময়টায়- জীবনের সেই সন্ধিক্ষণে কবির সঙ্গে ‘বংশীর সুস্বরে কি উৎসব হয়েছিল আমার জগতে ‘কেউ তার খবর রাখেনি। তার বিচিত্র বাণীতে কি যে বিস্ময় ‘তুমি যেমন আছো তেমনি এস আর করো না সাজ বেণী না হয় এলিয়ে রবে সিঁথি না হয় বাঁকা হবে নাইবা হলো পত্রলেখার সকল কারুকাজ।’ ঘোর বর্ষায় তার গান পত্র হয়ে আসে ‘দাও আকুলিয়া ঘন কালো কেশ, পর দেহ ঘেরি মেঘ নীল বেশ- কাজল নয়নে যূথি মালা গলে এস নীপবনে -’. আন্নাকে তিনি তো এতসব বলবার সময় পাননি- তাকে তার কবির বলাতো হয়নি ‘অলোকে কুসুম না দিও, শুধু শিথিল কবরী বাঁধিও -কাজলবিহীন সজল নয়নে হৃদয় দুয়ারে ঘা দিও’ তারপরেও নলিনী তাকে বলেছিলেন ‘আমি মনে করি যে আমার মৃত্যুশয্যাতেও তোমার গান আমাকে আবার জীবিত করে তুলবে।’ পূর্বেই উল্লেখ করেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংল্যান্ড যাত্রার প্রাক্কালে মাত্র দুই মাসের জন্য ১৮৭৮ সালে আগস্ট মাসে বোম্বের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও প্রার্থনা সভার প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আত্মাপুরাম তড়খড়ের গৃহে আতিথ্য নিয়েছিলেন। আত্মারাম ছিলেন রবির বড় দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু। যে সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগদানকারী প্রথম ভারতীয়। সত্যেন্দ্রনাথ আশা করেছিলেন যে আন্নাদের পরিবারের ইংরেজী ভাষা ও কালচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে ইংরেজী ভাষার সঙ্গে রবির সখ্যতা যেমন বাড়িয়ে তুলবে তেমনি রপ্ত হবে ইংরেজী ম্যানারিজম। রবীন্দ্রনাথের চাইতে প্রায় তিন বছরের বড় এই তরুণী দুমাস আগে ফিরেছিলেন বিলেত থেকে আর তাতেই কথোপকথন ও কালচারে তিনি হয়েছিলেন তুলনাহীন শিক্ষিকা। আন্নাদের ড্রয়িং রুমে উভয়ের মধ্যে যে প্লেটোনিক ভালবাসা রচিত হয়েছিল তার স্থায়িত্ব ছিল অত্যন্ত স্বল্প কিন্তু নলিনী কবিতাটি আলোচ্য সময়েই রূপ লাভ করে স্বভাব লাজুক রবির কিন্তু কবির অত্যন্ত লাজুক স্বভাব ঘটনাটিকে কোন রোমান্টিক পরিণতিতে এগোতে দেয়নি। আন্নাকে বিদায় জানিয়ে নবেম্বরেই রবীন্দ্রনাথ রওনা হয়ে যান ইংল্যান্ড অভিমুখে। ‘তোমার এমন সুন্দর মুখটি দাড়ি গোঁফে ঢেকো না’ উনিশ বর্ষীয় আন্নার সেই অনুরোধের বিষয়ে পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন যে- ‘সবাই জানে তিনি তার এই নির্দেশ পালন করেননি। কিন্তু আন্না নিজেও কবির ওপর অর্পিত সে আদেশের লঙ্ঘন দেখার জন্য পৃথিবীতে বেঁচে থাকেননি।’ ইতিহাস বলে দু’বছর পরে আন্না তড়খড় একজন স্কটিশ যুবককে বিবাহ করে ইংল্যান্ডের এডিনবার্গে চলে যান এবং মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সে মারা যান সেখানেই। ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ বলেন, আন্নার সেই বিবাহের পূর্বে হয়তো কন্যার ইচ্ছাতেই আত্মারাম জোড়া সাঁকোয় এসে রবির পিতার কাছে আন্নার সঙ্গে তখন ইংল্যান্ডে অধ্যয়নরত পুত্রের বিবাহ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু পিতা দেবেন্দ্রনাথ তাতে সম্মতি দেননি। কবির নলিনীকে নিয়ে আমার এই লেখালেখি শুরু করবার পর কে জানে কেন ঘড়ি ঘড়ি মনে হচ্ছিল কোন সিনেমাওয়ালার চোখ কি আন্না তড়খড়ের নিভৃত প্রেমের জগতে চোখে পড়েনি? অত্যন্ত মজার কথা এমন ভাবনার মাঝেই দেখলাম কলকাতা থেকে পিটিআই পরিবেশিত এক পুরনো খবর। এক বাঙালী চিত্র পরিচালক নাকি রবি ও আন্নাকে নিয়ে ‘নলিনী’ নাম দিয়ে বাংলা ও মারাঠি ভাষায় নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এক চলচ্চিত্র। এতে নায়িকা ভূমিকায় থাকবার কথা মারাঠি বংশোদ্ভূত বলিউড ও হলিউডের নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে আশার কথা বিশ্বভারতী হুকুম করেছে চলচ্চিত্রটিতে যে সমস্ত দলিল দস্তাবেজ ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহার হবে সেগুলো নিয়ে সিনেমার দলটিকে তাদের একটি বোর্ডের সামনে হাজির হতে হবে। খবরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭ সালে এই দল একই কাজে বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি অবশ্য শেষ সংবাদটি খুঁজে পাইনি। তবে এটুকু বলতে পারি, রবীন্দ্রনাথকে বোম্বে কায়দায় দেবদাস বানালে তো প্রাণে সইবে না। লেখক : নিউইয়র্ক প্রবাসী
×