
ছবি: জনকণ্ঠ
রাজধানীর চকবাজারে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে বিএনপির অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক নেতার দ্বারা এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকাল ৪টায় পরিবহন চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের “খুনিদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও”, “সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে”—ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীকের সঞ্চালনায় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরণ বলেন, “আমরা সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। মিটফোর্ডে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা আমাদের হৃদয়কে ব্যথিত করেছে। খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে পায়ের রগ কেটে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটিও আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা পারভেজ ও সাম্যের হত্যাকাণ্ডের সময় রাজপথে ছিলাম। সুতরাং ছাত্রদল সবসময় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে রাজপথে থাকবে।”
যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী বলেন, “ছাত্রদল গত ১৭ বছর ধরে রাজপথে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং আগামীতেও লড়বে। মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি। একই সময়ে আরও দুটি হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ঘটেছে—খুলনায় যুবদলের এক নেতাকে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে, আর চাঁদপুরে একজন মসজিদের ইমামকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই দুটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। আমরা যেমন কোনো হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করতে পারি না, তেমনি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডেরই বিচার চাই।”
সমাপনী বক্তব্যে জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “জুলাই পরবর্তী সময়ে আমরা চেয়েছিলাম একটি সাম্য ও ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই এসব হত্যা ও মব কালচারের সুষ্ঠু বিচার করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনত, তাহলে বারবার মানুষ হত্যার সাহস কেউ করতো না। আমরা মনে করি, শুধু একটি বিশেষ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কোনো মব কালচারকে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে উসকে দেওয়া যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনো দল বা আদর্শ নেই।”
এম.কে.