
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিবিড় কর্মকার এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ হাজার ৩০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ১ হাজার ২৮৫ নম্বর। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এ বছর ১১ হাজার ৮৪৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও নিবিড়ের মতো ব্যতিক্রমী সাফল্য খুব কমই দেখা গেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে কথা হয় নিবিড়ের। এ সময় পাশে ছিলেন তার বাবা জীবন কর্মকার ও মা রিপা রায়। বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, মা গৃহিণী। নিবিড়ের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
নিবিড়ের বাবা জীবন কর্মকার বলেন, “ছেলে নিয়মিত স্কুলের দিকনির্দেশনা মেনেই পড়াশোনা করেছে। শিক্ষকেরা ছিলেন খুব আন্তরিক। আমরা ঘরে শুধু খেয়াল রেখেছি ওর পড়াশোনার পরিবেশটা ঠিক আছে কি না। তবে এসএসসি পরীক্ষার আগে কয়েকটি কোচিংয়ে কেবল মডেল টেস্ট দিয়েছে।”
ফলাফলে আনন্দিত নিবিড়ের মা রিপা রায় বলেন, “ওকে কখনো চাপ দেইনি। নিজে থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহী ছিল। রচনা প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমেও অংশ নিত। এসব জায়গায়ও আমরা ওকে উৎসাহ দিয়েছি।”
নিবিড়ের ভালো ফলে উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান বলেন, “নিবিড় খুবই বিনয়ী ও ভদ্র। নিয়মিত পড়াশোনা করেছে। এ বছর আমাদের স্কুলে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে সে।”
নিবিড় জানায়, “প্রতিটি পরীক্ষা শুরুর আগে নার্ভাস হয়ে যেতাম, প্রশ্ন কেমন আসবে তা নিয়ে। মা-বাবা ও শিক্ষকেরা সব সময় সাহস জুগিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ—সবার চেষ্টায় আজ এই অবস্থানে আমি। এখন আমার লক্ষ্য বুয়েট। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই এগোতে চাই, সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, “মেধাভিত্তিক কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। তাই কার ফল সবচেয়ে ভালো, তা বলা যাচ্ছে না। তবে নিবিড়ের ফল অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।”
মিমিয়া