
ছবি: জনকণ্ঠ
পাকা রাস্তায় হ্যান্ডেল ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে মোটরসাইকেল চালায় দিনমজুর আজাদ । মাথায় গামছা বেঁধে হ্যান্ডেল ছেড়ে দিয়ে পা গুটিয়ে বসে আছেন ছিটে। আবার কখনও গাড়িতে দাঁড়িয়ে, শুয়ে দেখছেন মোবাইল, খাচ্ছেন খাবার ও পানি, নাড়ছেন হাত। এভাবে গাড়ি চালানো দেখে অবাক হয় পথচারীরা। রাস্তায় হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করে। কোনো সার্কাসে বা খেলার মাঠে নয় ব্যস্ত রাস্তায় চলে মোটর সাইকেল চালানো।
কুড়িগ্রাম- নাগেশ্বরী সড়কে শখের বসে এভাবেই নানা ভঙ্গিমায় মোটরসাইকেল চালিয়ে পথচারীসহ স্থানীয়দের বিনোদন দিচ্ছে কৃষি শ্রমিক আজাদ আলী। অভাবের মধ্য বড় হলেও মোটর সাইকেল চালানোর শখ ছোটবেলা থেকেই। মানুষের কাছেই মোটরসাইকেল চালানো শেখে প্রায় এক দশক আগে। বিভিন্ন জনের কাছে মোটরসাইকেল নিয়ে নানা কলা কৌশল শিখে ফেলে। তিন বছর আগে মাত্র সাড়ে ১৬ হাজার টাকায় একটি মোটরসাইকেল কিনে মনের শখ পূরণ করে। এরপর থেকে মোটর সাইকেলের নানা কলা কৌশল আয়ত্ত করে। দিন রাত প্রচুর পরিশ্রম করে। কখনো হাত ছেড়ে দিয়ে কখনো মোটর সাইকেলে বসে নানা কসরত প্র্যাকটিস করে। এক সময় সফলও হন। তারপর থেকে কাজের ফাঁকে অবসর সময় পেলেই মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন সড়কে। হ্যান্ডেল ছেড়ে দিয়ে নানা ভঙ্গিমায় চালিয়ে আনন্দ দেন পথচারীসহ স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী জানায় ব্যস্ততম সড়কে এক প্রকার ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মোটরসাইকেল চালিয়ে মানুষকে বিনোদন দেয় আজাদ আলী। তাকে সরকারি বা বেসরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে হয়ত এভাবে গাড়ি চালানোই হয়ে উঠতে পারবে তার আয়ের উৎস।
মোটরসাইকেল চালক মো: আজাদ আলী জানায় তিনি বলেন ছোট থেকে খুব শখ একটি বাইক কিনবো। দিন মজুরি কাজ করতে করতে বাইক কিনতে পারি না। সবাই বাইক চালায় আমারও বাইক চালাতে মন চায়। দিন মজুরি করে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা জমিয়ে একটি বাইক কিনেছি। সার্কাসে যে খেলা ধুলা দেখায় আমারও মনে হলো আমিও এভাবে খেলা দেখাতে পারবো। আমি গ্রামের রাস্তায় গাড়ি চালানো শুরু করি। এবং সার্কাসের গাড়ি চালানোর কলা কৌশল শিখে ফেলি।
সাব্বির