ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

সোহাগ হত্যার আগুনে জ্বলছে নীলফামারী, গর্জে উঠেছে জনতা

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১২ জুলাই ২০২৫

সোহাগ হত্যার আগুনে জ্বলছে নীলফামারী, গর্জে উঠেছে জনতা

দৈনিক জনকণ্ঠ

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা সহ দেশে চলমান সকল প্রকাশ ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার প্রতিবাদে নীলফামারী বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামি আন্দোলন ও ইসমালী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখা।

অপরদিকে জেলার ডোমার উপজেলায় নবজাগরণ ডোমার এবং হৃদয়ে ডোমার ব্যানারে একই কর্মসূচি পালন করা হয়।

শনিবার(১২ জুলাই) বিকাল ৬টার দিকে সরকারি কলেজ রোড সংলগ্ন দলীয় জেলা কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

ইসলামি যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মামুন ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ইয়াসিন আলী,

সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আসাদুজ্জামান খান বিপ্লব, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি রাসেল রানা প্রমুখ।  

এসময় বক্তারা, গত জুলাইয়ের পরে সারা দেশে নৃশংসতা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি চকবাজারে যে বর্বরতা ঘটেছে তা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা ও পক্ষপাত সুস্পষ্ট।

তারা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যার ফলে জাতিকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখতে হলো। এঘটনার জড়িতদের ফাঁসি দাবি করে বক্তারা।

অপরদিকে এইকদিন বেলা ১২টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরে নবজাগরণ ডোমার এবং হৃদয়ে ডোমার ব্যানারে ডোমার বাজার রেলগেট সংলগ্ন প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।

সমাবেশে ছাত্র প্রতিনিধি অর্ণব আল আলিফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুলাহ আল মামুন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সোহেল রানা, মুফতি মহিউদ্দিন জুলফিকার, ইসলামি বক্তা আবু সাঈদ, কামরুল ইসলাম আরেফী ও ছাত্র প্রতিনিধি মাহির মোহাম্মদ মিলন।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্যাকার্ড হাতে কর্মসূচিতে অংশ নেন। বক্তারা বলেন,“একজন মানুষ কতটা নিকৃষ্ট হলে একজন নিরীহ মানুষকে চাঁদার জন্য এভাবে পাথর মেরে হত্যা করতে পারে। ২৪-এর গণ-আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সবাই রাস্তায় নেমেছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।

এই ২৫-এ হয়ত আমাদের আবারও রাস্তায় নামতে হতে পারে। তবে সেই নামাটা হবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা লালচাঁদ  সোহাগ হত্যার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। 

হ্যাপী

×