
ছেলের পরকীয়ার সম্পর্ক ঠেকাতে গিয়ে ‘বোমা’ থাকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের অপচেষ্টা করেন এক মা। এ ঘটনায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্বেগ, বিমানবন্দর কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তির উপরও পড়ে নেতিবাচক প্রভাব।
শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে এমন একটি মিথ্যা ফোনকল আসে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে। ফোনটি আসে একটি অচেনা নম্বর থেকে। কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফ্লাইটটি স্থগিত করা হয় এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়। তবে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
র্যাব ডিজি বলেন, “এ ধরনের গুজব দেশের নিরাপত্তা, বিমান চলাচল এবং জাতীয় এয়ারলাইন্সের সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করে।” ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটনার মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে উঠে আসে, ইমন নামে এক যুবক তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ইমনের মা রাশেদা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ইমনের বন্ধু ইমরানের পরামর্শে রাশেদা বেগম ফ্লাইট বন্ধ করতে ‘বোমা আছে’ বলে মিথ্যা ফোন দেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ইমনের মা রাশেদা বেগম, স্ত্রী তাহমিনা ও বন্ধু ইমরান।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, “এই অপরাধ অত্যন্ত গর্হিত এবং দণ্ডনীয়। যারা এই ধরনের অপরাধে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনার জেরে কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইটটি প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে।
র্যাব সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
আফরোজা