ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ১২ জানুয়ারি ২০১৮

ফিরে দেখা

‘গলির ভেতর ভাত ঘর’ শরীফুল ইসলাম ॥ ৬ জানুয়ারি, শনিবার বেলা ২টা। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের বিপরীত দিকে ‘ফেভার ইন’ আবাসিক হোটেলের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ১২ বছর বয়সী মিঠু একটি খাবার হোটেলে কাস্টমার টেনে নিতে জোরগলায় অবিরাম ডাকাডাকি করছিল। কাস্টমার আকর্ষণে তার মুখের ভাষা ছিল এ রকম- ‘গলির ভেতর ভাত ঘর, সৌদিয়া ভাত ঘর।’ তার ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই মেইন রোড থেকে গলিপথ দিয়ে একটু দূরে ভাত ঘর হোটেলে খেতে যাচ্ছিল। সুর করে অবিরাম ডাকাডাকি করে কাস্টমার টানার কৌশল দেখে আমাদের এক বড় ভাই নজিব আকবর মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। আর এটা দেখে মিঠু আরও দ্বিগুণ জোরে কাস্টমার ডাকা শুরু করে। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা বন্ধু নোটন মজুমদার ভাত ঘর হোটেলটি পরিদর্শন করে এসে জানায় সেখানে ইতোমধ্যেই কাস্টমারের ভিড় লেগে গেছে। পুলিশের তাড়া খেয়ে শাহীন রহমান ॥ বাসার সামনে প্রধান সড়কেই অস্থায়ী বাজার। প্রতিদিন ভোর থেকে কাঁচা সবজি এবং মাছের বাজার বসে। তবে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে পুলিশ এসে তুলে দেয় বাজার। ধারেকাছে আর কোন বাজার নেই। তাই টোলারবাগবাসীর প্রায় সকলের ভরসা এই অস্থায়ী বাজারের ওপর। তবে বাজারে যারা পণ্যের পরসা নিয়ে বসেন, তাদের প্রত্যেকদিন পুলিশের তাড়া খেতে হয়। পুলিশ এসে তাড়া দিলে বিক্রেতারা তাদের পণ্য নিয়ে এদিক-ওদিক দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনা নিত্যদিনের। সম্প্রতি বেলা ১১টার দিকে গিয়েছিলাম অস্থায়ী বাজারে কেনাকাটা করতে। দোকানির কাছ থেকে কেবল ২ আঁটি শাক কিনেছি। হঠাৎ দেখলাম সব দোকানি হুমড়ি খেয়ে এদিক-ওদিক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। পেছন ফিরে দেখি পুলিশের গাড়ি। পুলিশের এক সদস্য একজন দোকানদারকে লক্ষ্য করে তাড়া করছে। ভয়ে অন্যদের পালানোর চেষ্টা। এরই মধ্যে একজন তার মাছের ঝাঁকা মাথায় তুলতে গিয়ে হাত থেকে পড়ে সব মাছ রাস্তায় ছড়িয়ে যায়। কেউ বা আবার আলু, কাঁচা মরিচের দোকান ফেলেই দৌড়। পরে অবশ্য একজন পুলিশের দয়া হলো। তিনি ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করছেন ‘এই মাল’ কার। ভয়ে একজন এসে বললেন স্যার আমার। পুলিশ অবশ্য সেটা মালিককে বুঝিয়ে দিলেন। বলতে না পারায় ক্ষোভ তৌহিদুর রহমান ॥ রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) গত বুধবার ‘পরিবর্তনশীল বিশ্ব : বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। সেমিনারের উন্মুক্ত পর্বে বেশ কয়েকজন অতিথি বক্তব্য রাখেন। তবে সেমিনারের সভাপতি বক্তাদের বার বার সময়ের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ জানান। অবশ্য সময়ের অভাবে বেশ কয়েকজন অতিথি বক্তব্য দিতে পারেননি। সে কারণে অতিথিদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
×