ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা -অভিভূত জয় যাদব

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা  -অভিভূত জয় যাদব

তৌহিদুর রহমান ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের মিত্র বাহিনীর প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জয় ভগওয়ান সিং যাদব ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকা থেকে বিদায় নেয়ার আগে তিনি ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে মিলিত হন। সে সময় খোলামেলাভাবে জয় যাদব বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। সে সময়ের বাংলাদেশ দেখেছি। এখন আবার বাংলাদেশ দেখছি। তবে এখন এই দেশের উন্নয়নে আমি অভিভূত। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন দেখে আমি আনন্দিত। একাত্তর সালে এই দেশে তেমন কিছুই ছিল না। এখন এদেশে বড় বড় রোড, ব্রিজ, শপিং মল, বিশ্ববিদ্যালয়, দেখে আমার খুব ভাল লাগছে। ভাড়া দিতে মানা! রশিদ মামুন ॥ গত ১২ ডিসেম্বরের ঘটনা। ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন ট্রেন। প্রথম শ্রেণীর একটি বগি। রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশনে দাঁড়াতেই তিনটি ফাঁকা সিটে তিন ব্যক্তি এসে বসলেন। এক জনের শরীরে পুলিশের পোশাক। লেখা রয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে জানা গেল বাকি দু’জনও পুলিশেই চাকরি করেন। টিকিট চেকার আসতেই প্রথম জন বলার চেষ্টা করলেন আমরা তো পুলিশে আছি, আমাদের কেন টিকিট লাগবে। চেকার নাছোড়বান্দা, লাগবেই লাগবে, টিকিট ছাড়া চলবে না। আর এখনই কাটতে হবে। কি আর করার তারা বাধ্য হলেন টিকিট কাটতে। বলল, প্রথম শ্রেনীর না, শোভনের দেন। চেকার বলল, না শোভনের দিতে পারব না। তবে তিনজনের স্থলে দু’জনের কেটে দিচ্ছি। সঙ্গে দুই একটি স্টেশনও কমিয়ে দিচ্ছি। শেষ পর্যন্ত কাটতেই হলো। পাশে আরেক ভদ্রলোক বসেছিলেন তিনি এই সময়ে বাইরে গিয়ে দাঁড়ালেন। চেকার চলে গেলে তিনি আসলেন। জানা গেল তিনিও পুলিশ। টাঙ্গাইলে চাকরি করেন। এভাবেই ট্রেনে ভ্রমণ করেন। তবে টিকিট ছাড়াই। ঢাকার বাসের মধ্যে ওয়েবিল আসলে বাসের কন্টাক্টর বলেন, পুলিশ পাশ ক’জন? মাঝে মধ্যে কেউ কেউ হাত তোলেন। এদের ভাড়া লাগে না। কিন্তু কেন? পুলিশরা কি বেতন পায় না! নাকি পুলিশ হলেই ভাড়া দিতে মানা? চানাচুর বয় শাহীন রহমান ॥ সব মানুষের মধ্যে কিছু ভাল গুণ থাকে যা অন্যকে প্রচ- আকর্ষণ করে এবং কর্মক্ষেত্রেও কাজে দেয়। এই গুণ বা কৌশল প্রয়োগ আয়ের উৎস হিসেবেও কাজে দেয়। সম্প্রতি রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরছি। বাংলামোটর থেকে বাসে উঠেছি। বাসে খুব বেশি যাত্রী নেই। সিটিং গাড়ির পেছনের বেশ কয়েকটি সিট ফাঁকা। উঠেই পেছনের একটি ছিটে বসলাম। এমন সময় একজন চানাচুর বিক্রেতা বাসে উঠল ফেরি করে বিক্রি করতে। বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। ‘ঝাল চানাচুর দেবো নাকি কারো’ এভাবে কয়েকবার উচ্চরণ করল এবং পেছন থেকে সামনে এবং সামনে থেকে পেছনে আসা-যাওয়া করল। কেউই তার চানাচুর কেনায় আগ্রহ দেখাল না। ছেলেটি বাস থেকে নেমে যেতে উদ্যত হলো। এমন সময় একজন যাত্রী কি মনে করে বলে উঠল আমাকে ১০টাকার দাও। অমনি ছেলেটি কিছু চানাচুর, তেল আর মসলা কোটার রেখে দু’হাতের তালু দিয়ে ঝাঁকিয়ে ঝাল চানাচুর তৈরি শুরু করল। ঝাঁকানোর সময় দুই হাতে তালুতে বিশেষ শব্দ তৈরি করতে থাকে, যা বাসের সব যাত্রীকেই আকৃষ্ট করে। ঝালচানাচুর তৈরির এই বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করে বাসে সব যাত্রীকেই চানাচুর কিনতে বাধ্য করল চানাচুরওয়ালা। তার চানাচুর বানানোর দৃশ্যটা দেখছিলাম আমি। তবে ইচ্ছা থাকলেও পেটে গ্যাস হতে পারে এই ভয়ে আর চানাচুর কেনা হয়নি।
×