ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ সেমিফাইনাল

স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৫ আগস্ট ২০১৭

স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা জয়ের চেয়ে শিরোপা ধরে রাখাটাই বেশি কঠিন। আর এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েছে ফাহিম, নাজমুলরা। আর সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যদি প্রতিপক্ষ হয় স্বাগতিক দল তাহলে চাপের মাত্রা দ্বিগুণই হওয়ার কথা। তবে সব চাপকে একপাশে রেখে নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলে জয় কুড়িয়ে নিয়ে কাঠমান্ডুতে চলমান সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের কাক্সিক্ষত ফাইনালে নাম লেখাতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ জাতীয় ফুটবল দল। আজ তারা যে কোন মূল্যে হারাতে চায় নেপালকে। সাতদোবাতোর আনফা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশ ছিল ‘এ’ গ্রুপে। এক ম্যাচ খেলেই (শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়) জুনিয়র টাইগাররা সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছিল। দ্বিতীয় ও শেষ গ্রুপ ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে (৩-০ গোলে) নিশ্চিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন (অপরাজিত) হওয়া। শুধু বাকি ছিল শেষ চারÑ অর্থাৎ সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে সেটা জানা। সেই প্রশ্নের জবাব বুধবারই পেয়ে গিয়েছিল ফাহিমরা। বুধবার টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক নেপাল মুখোমুখি হয় ভারতের। আর তাতে ভারতই হেসেছে বিজয়ীর হাসি। তারা নেপালকে হারায় ২-১ গোলে। এর ফলে ‘বি’ গ্রুপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবে বাংলাদেশের কিশোররা। তারা মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ স্বাগতিক নেপালের। একই সময়ে কাঠমান্ডুর হালচক স্টেডিয়ামে ভারত মোকাবেলা করবে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ ভুটানের। ভারত তাদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৯-০ এবং নেপাল তাদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা এবং ‘বি’ গ্রুপ থেকে মালদ্বীপ কোন পয়েন্ট না পেয়েই বিদায় নিয়েছে। এই আসরে এখন পর্যন্ত দলগত সবচেয়ে বেশি গোল করেছে ভারত ১১টি। আর একমাত্র দল হিসেবে বাংলাদেশ এখনও কোন গোল হজম করেনি (৭ গোলের বিপরীতে)। বাংলাদেশের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষে আছে। তার গোল সংখ্যা ৪। টুর্নামেন্টের একমাত্র হ্যাটট্রিকটিও তারই (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। এই আসরে বাংলাদেশের জন্য ‘প্রেস্টিজিয়াস’ ম্যাচ ছিল গ্রুপপর্বে ভুটানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি। এই ম্যাচে ভুটানীদের হারিয়ে তাদের সব ‘ফুটানি’র ইতি ঘটায় ফাহিমরা। কেননা তাদের সিনিয়র দলের কাছেই হেরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফুটবলের মান-সম্মান ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল। ভুটানের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরে তিন বছরের জন্য এএফসির যে কোন আন্তর্জাতিক আসরে খেলা থেকে বঞ্চিত হয়ে বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল খাদের অতলে। সিনিয়ররা যা পারেনি তা-ই করে দেখায় জুনিয়ররা। মামুনুলদের ব্যর্থতার দায়মুক্তি ঘটায় ফাহিমরা। এই আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ আগস্ট, আনফা কমপ্লক্সে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত সাফ অনুর্ধ-১৬ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ফলে শিরোপা অক্ষুণœ রাখার চাপ আছে তাদের ওপর। বাংলাদেশ কি এবার পারবে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে এই আসরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠতে?
×