ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল

উজ্জীবিত আবাহনীর প্রতিপক্ষ আজ বিজেএমসির

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১১ আগস্ট ২০১৭

উজ্জীবিত আবাহনীর প্রতিপক্ষ আজ বিজেএমসির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন ধীরে ধীরে জমে উঠছে ‘সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে’র খেলা। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে তৃতীয় রাউন্ডের খেলা। আজ থেকে শুরু হচ্ছে চতুর্থ রাউন্ডের লড়াই। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত একমাত্র ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড মুখোমুখি হবে গত লীগের নবম স্থানের অধিকারী টিম বিজেএমসির। সর্বশেষ লীগে আবাহনী প্রথম সাক্ষাতে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বিজেএমসিকে। ফিরতি মোকাবেলায়ও তাই, এবারের জয় ২-১ গোলে। দু’বারই হারলেও প্রতিবারই আবাহনীকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছিল বিজেএমসি। স্বাধীনতার পর সর্বাধিক ১৬ বারের লীগ চ্যাম্পিয়ন ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী এবারের লীগে এ পর্যন্ত ৩ ম্যাচের ২টিতে জিতলেও হেরে গেছে একটিতে। নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে আন্ডারডগ ও ‘লালকুঠি’ খ্যাত ফরাশগঞ্জের কাছে হেরে যায় ০-১ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে অতিকষ্টে ১-০ গোলে হারায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। এবারের লীগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এতই বেশি যে এক ম্যাচে হোঁচট খেয়েই টেবিলের চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে তারা। তাদের সমান পয়েন্ট রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রেরও। গোল ব্যবধানের কারণে রহমতগঞ্জ (+২) তিনে, সাইফ (+১) পাঁচে এবং মুক্তিযোদ্ধা (+০) আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। আজকের ম্যাচে বিজেএমসি জিতলে দুইধাপ টপকে আটে আসার সুযোগ পাবে। আর আবাহনী যদি কমপক্ষে ৫-০ গোলের ব্যবধানে জিতে তাহলে তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠতে পারবে। সেক্ষেত্রে তারা পেছনে ফেলে দেবে যথাক্রমে রহমতগঞ্জ, শেখ জামাল ধানম-ি (+৪) এবং চট্টগ্রাম আবাহনীকে (+৫)। তবে চট্টগ্রাম আবাহনীকে টপকে এক নম্বরে গেলেও সেটা হবে সাময়িক। কেননা চট্টগ্রাম আবাহনী আবার খেলেছে ঢাকা আবাহনীর চেয়ে এক ম্যাচ কম। চট্টলার দলটি পরের ম্যাচে ড্র করলে বা জিতলেই আবারও শীর্ষে চলে যাবে। এদিকে এবারের লীগে বিজেএমসি নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে শুরু করে। দ্বিতীয় ম্যাচে ০-১ গোলে হেরে যায় শেখ জামালের কাছে। তৃতীয় ম্যাচেও হারে ০-২ গোলে। এবারের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী। বিজেএমসি আজ ক্ষয়িষ্ণু শক্তির দল হলেও এক সময় তারা ছিল ঢাকার ফুটবলে শক্তিশালী ও প্রতিষ্ঠিত একটি দল। স্বাধীনতার আগে তিনবার এবং স্বাধীনতার পর দু’বার... মোট পাঁচবারের লীগ চ্যাম্পিয়ন তারা। স্বাধীনতার আগে তারা জেতে ভিন্ন নামে (ইস্ট পাকিস্তান আইডিসি, ১৯৬৭, ৬৮, ৭০)। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জেতে আরেক ভিন্ন নামে (বাংলাদেশ জেআইসি)। বিজেএমসি নামে লীগ জেতে ১৯৭৯ সালে। সেটাই শেষ। অনেক বছর পর আবারও লীগ অঙ্গনে ফিরলেও আর লীগ জিততে পারেনি ‘সোনালী আঁশের দল’। আজ আবাহনীর মূল অস্ত্র হবেন আক্রমণভাগের চার সদস্য রুবেল মিয়া, এমেকা ডার্লিংটন, ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে এবং নাবিব নেওয়াজ জীবন। আর বিজেএমসির ভরসা মিডফিল্ডার আবদুল্লাহ আল পারভেজ এবং ফরোয়ার্ড কিংসলে ওশিওখা। তবে আক্রমণের চেয়ে রক্ষণেই হয়তো বেশি মনোযোগী হতে হবে তাদের। এখন দেখার বিষয় আজকের ম্যাচে ছন্দে ফেরা আবাহনী নাকি ছন্দ হারানো বিজেএমসি জেতে? কোচ হিসেবে কে জয়ের হাসি হাসবেনÑ দ্রাগো মামিচ না জাকারিয়া বাবু?
×