ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- উজ্জীবিত মরগান, হতাশ স্মিথ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১২ জুন ২০১৭

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- উজ্জীবিত মরগান, হতাশ স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা তিন জয়ে গ্রুপ এ-এর শীর্ষে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। অন্যদিকে দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ইংলিশদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ভাগ্য-বিড়ম্বনার পাশাপাশি প্রত্যাশিত খেলা উপহার দিতে ব্যর্থ অসি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ যারপর নাই হতাশ। বিপরীতে সেমির আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে দুর্দান্ত এই জয়ে খুশি ইংল্যান্ড সেনাপতি ইয়ন মরগান। এজবাস্টনে ৯ উইকেটে ২৭৭ রানের সাদামাটা স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে এক পর্যায়ে ৩৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংলিশরা। এরপরই মরগান (৮৭) ও স্টোকসের (১০২*) চমৎকার জুটি। ৪০.৪ ওভারে ২৪০ রানের সময় বৃষ্টির জন্য ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয় ৪০ রানে। তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক, ‘সে এমন একজন অলরাউন্ডার প্রয়োজনে কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিতে পারে। এটা দলের জন্য ইতিবাচক।’ স্টোকসকে নিয়ে মরগান আরও বলেন, ‘অনেকেই আছে যারা যখন সময় পক্ষে থাকে না, তখন একপাশে চেপে যায়। কিন্তু বেন এ রকম নয়। আমার মনে হয় প্রথম স্পেলে সে চার ওভার বল করেছিল এবং এরপর তাকে আমরা ম্যাচের শেষদিকে সবচেয়ে কঠিন দুই ওভার বল করতে দিয়েছিলাম। আইপিএল নিলাম প্রমাণ করেছে, সবদলই তাকে চায়। সে সবসময় খেলায় প্রভাব রাখতে চায়Ñ ব্যাট হাতে, বল হাতে, এমনকি ফিল্ডিংয়েও। স্টোকস সবসময় খেলার মাঝে থাকতে চায়। তার ব্যাটিং অসাধারণ। ক্রিজে শান্ত, কিন্তু প্রাণবন্ত। টানা তিন জয়ের পর সেমিফাইনালের আগে আমরা এখন বেশ উজ্জীবিত।’ তিনি আরও জানান, ‘আদিল রাশিদের শেষ ওভারে সে এমন কিছুই করে যেটা সে অনেক ম্যাচেই করেনি। তার আত্মবিশ্বাস ক্রমাগত বাড়ছে, যা আনন্দ দিচ্ছে। সে কয়েকজন কোয়ালিটিফুল ক্রিকেটারের উইকেট নিয়েছে। মার্ক উডও ফর্মে ফিরেছে। যে কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই আমাদের কঠিন মোকাবেলা করতে হয়েছে।’ মরগান বলেন, ‘আমাদের সামনে আর ভাল বল করার সুযোগ আছে। আশাকরি, সামনে আমরা আরও ভাল করব। আর এই ম্যাচে আমাদের জুটিটা ভাল ছিল।’ ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হওয়া বেন স্টোকস বলেন, ‘খুবই ভাল ম্যাচ হয়েছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। ব্যাট করার সময়ে আমাকে এসব আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। বাটলার আর মরগান আমাকে সহায়তা করেছে। আমরা ব্যাট করার সময় কন্ডিশন নিয়ে কথা বলেছি এবং ওইভাবে খেলেছি।’ অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়ানডে ফরমেটে প্রথম কোন বড় টুর্নামেন্টে খেলতে এসে কঠিন পরীক্ষায় পড়েন স্মিথ। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘এটা হতাশাজনক। আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি। ১৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পরে যাওয়াটা আমাদের ম্যাচ থেকেই ছিটকে দিয়েছে। বড় আসরে আমাদের ভাল করার দরকার ছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দেয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি।’ আসরে বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়ার ছন্দ নষ্ট করেছে বলেও উল্লেখ করেন স্মিথ, ‘এদিন বৃষ্টির পরে আমরা ভাল বোলিংও করতে পারিনি। মরগান এবং স্টোকস খুবই ভাল খেলেছে। আমরাই তাদের সুযোগ করে দিয়েছি। আসলে বৃষ্টি বাগড়া দেয়ায় আমাদের এই আসরে খেলার কোন ধারাবাহিকতাও ছিল না। এটা খুবই হতাশার।’ ছিটকে গেলেন কুশল পেরেরা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার পথে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার জন্য ডু অর ডাই। অথচ দুঃসংবাদ, ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা কুশল পেরেরা। ৩২১ রান চেজ করে ভারতের বিপক্ষে আলোচিত ৭ উইকেটে জয়ের ম্যাচে ব্যাট করার সময় ইনজুরিতে পড়েন এই বাঁহাতি। ব্যাট হাতে ৪৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। হ্যামট্রিংয়ের সেই ইনজুরি শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টই শেষ করে দিয়েছে পেরেরার। পরিবর্তে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে দলে ডাকা হয়েছে। ইনজুরি অবশ্য শ্রীলঙ্কা দলের জন্য বড় শত্রু হয়েই দেখা দিয়েছে। চোটের কারণে দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছে তাদের প্রধান পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে। অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসও বিভিন্ন সময়ে সংগ্রাম করে চলেছেন ইনজুরি নামক ঘাতকের সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচটিতে যেমন খেলতে পারেননি ম্যাথুস। যে ম্যাচে ৯৬ রানে হারে লঙ্কানরা।
×