ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসের রেকর্ড দক্ষিণাঞ্চলের

ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁলেন তুষার

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৭ মার্চ ২০১৭

ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁলেন তুষার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রানের জোয়ার ঠেকাতে উইকেরক্ষক নুরুল হাসান সোহান পর্যন্ত বোলিং করেছেন। সাদমান ইসলাম ছাড়া ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল সবমিলিয়ে বোলিং করিয়েছে ১০ জনকে। তবু দ্বিতীয় দিনশেষে বিকেএসপিতে ৭০১ রান তুলেও থামেনি প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। ৮ উইকেট হারিয়েছে তারা। বিসিএলের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ১৭০ রানে অপরাজিত আছেন শাহরিয়ার নাফীস। এর আগেই চলতি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) তিন ম্যাচে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তুষার ইমরান। সবমিলিয়ে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করে তিনি অলক কাপালী ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের রেকর্ড ছুঁয়েছেন। ফতুল্লায় অপর ম্যাচে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের প্রথম ইনিংস ৩৭৪ রানে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনশেষে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ৭ উইকেটে ১৯২ রান তুলেছে। পিছিয়ে আছে তারা ১৮২ রানে। তুষার এবার ব্যাট হাতে গর্জে উঠেছেন। একের পর এক সেঞ্চুরি করেই থামছেন না সেটাকে পরিণত করছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। চলতি ম্যাচের প্রথম দিন ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সোমবার দ্বিতীয় দিন সেটাকে তিনি পরিণত করলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের জুটিটা অবশ্য দিনের শুরুতেই ভেঙ্গে গেছে ২৩০ রান যোগ হওয়ার পর। কিন্তু তুষারের সঙ্গে যোগ দিয়ে শাহরিয়ার হয়ে ওঠেন দুর্বার। চতুর্থ উইকেটে তাদের ২১৫ রানের জুটি রানের পাহাড়ে তুলে দেয় দক্ষিণাঞ্চলকে। ব্যাটসম্যানদের দাপটে মধ্যাঞ্চলের উইকেটরক্ষক সোহানও ১ ওভার বোলিং করেন। তুষার অবশ্য থেমেছেন অনিয়মিত বোলার মার্শাল আইয়ুবের স্পিনেই। তিনি ৩৪০ বলে ২১ চারে ২১৭ রান করার পর সাজঘরে ফেরেন। তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি এখন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার দখলে। এর আগে কাপালী ও মোসাদ্দেকই শুধু তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকাকে পেরেছেন। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তুষারের রান হলো ১২২১। অল্পের জন্য ছাড়িয়ে যেতে পারেননি লিটন কুমার দাসের এক মৌসুমে করা ১২৩২ রানের রেকর্ড। তবে সে সুযোগটা আছে এখনও তুষারের। শাহরিয়ারও ডাবল সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। তিনি ২৩৮ বলে ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৭০ রানে অপরাজিত আছেন। ৮ উইকেটে ৭০১ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল। আগের দিনের ২ উইকেটে ৩২৫ রানের সঙ্গে যোগ করেছে আরও ৩৭৬ রান। এর আগে ২০১৩ সালের বিসিএলে মধ্যাঞ্চল সর্বাধিক ৭ উইকেটে ৬৫৫ রান করেছিল বগুড়ায় পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে। মধ্যাঞ্চলের এদিন সফলতম বোলার শুভাগত হোম ২০২ রান খরচা করেছেন ৩ উইকেট শিকার করতে। অপর ম্যাচে, আগের দিন ৫ উইকেটে ৩০৫ রান তুলেছিল উত্তরাঞ্চল। আর মাত্র ৬৯ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৩ উইকেট নেন। উত্তরাঞ্চলের ৩৭৪ রানের জবাবে বেশ বিপাকেই পড়েছে পূর্বাঞ্চল। ১৯২ রান তুলতেই হারিয়েছে ৭ উইকেট। তারা পিছিয়ে আছে ১৮২ রানে। পেসার শফিউল ইসলাম নিয়েছেন ৫ উইকেট। স্কোর ॥ দক্ষিণাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল ম্যাচ-বিকেএসপি-৩ দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস- প্রথম দিন ৩২৫/২; ৯০ ওভার (মিঠুন ১২৭*, তুষার ১০১*, ইমরুল ৫৭; মোশাররফ ১/৯১) এবং দ্বিতীয় দিন- ৭০১/৮; ১৮০ ওভার (তুষার ২১৭, শাহরিয়ার ১৭০*, মিঠুন ১৩১, আল-আমিন ৩৪; শুভাগত ৩/২০২, তানবির ২/৬৫)। উত্তরাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল ম্যাচ-ফতুল্লা উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস- আগের দিন ৩০৫/৫; ৯০ ওভার (ফরহাদ হোসেন ১০৮, জুনায়েদ ৮৪, নাসির ৪০, শান্ত ৩৩*; সাইফুদ্দিন ২/৪২) ও দ্বিতীয় দিন ৩৭৪/১০; ১১১.৩ ওভার (শান্ত ৪৩, ধীমান ৪৭; সাইফুদ্দিন ৪/৫৫, আবুল ৪/৮৫)। পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ১৯২/৭; ৬১ ওভার (সাইফুদ্দিন ৩৫*, কাপালী ৩২; আবুল ২৫, রাহাতুল ২৩*; শফিউল ৫/৫৬)।
×