ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডিম সমাচার

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

ডিম সমাচার

মুরগির ডিম নিয়ে সম্প্রতি কথা উঠেছে। কথাটা হচ্ছে বাজারে আসল ডিমের সঙ্গে এসে গেছে নকল ডিম। যেগুলো চেনা কঠিন। যে কোন ক্রেতা যে কোন সময় ডিম কিনতে গেলে ঠকে যেতে পারেন। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবস্থা এমন যে, কোন কিছু প্রচার হতে বেশি সময় লাগে না। তাই খবরটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল সবখানে। অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন এই ডিমের ব্যাপারে! জানা গেল বিশেষজ্ঞরা ডিম পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাদের পরীক্ষার ফল হচ্ছে সব ডিমই আসল। বাজারে কৃত্রিম অর্থাৎ নকল ডিম নেই। গবেষকরা এ ব্যাপারে পরীক্ষা চালান বলে প্রকাশিত খবরে জানা যায়। খবরটি স্বস্তিদায়ক। নকল ডিমের ব্যাপারে যে উদ্বেগ তথা আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল অনেকের মনে, সেটা এতে দূর হবে সন্দেহ নেই। ডিম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং একই সঙ্গে পুষ্টিকর খাদ্য। হাজারো রকমের ব্যবহার হয় ডিমের। চিকিৎসকদের নিষেধের ক্ষেত্রগুলো বাদ দিলে ডিম খায় না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ছেলে-বুড়ো সবার জন্য প্রয়োজন ডিম। মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য, বিশেষ করে শিশুদের দেহ গঠনের ক্ষেত্রে ডিম দরকারি। ডিমের ব্যাপারে একটি কথা বলা যেতে পারে, মানুষকে পুষ্টির প্রয়োজনে ডিম খেতেই হবে। ডিমের চাহিদা যেমন বিরাট, তেমনি এই ডিম যাতে সবার কেনার সামর্থ্যরে মধ্যে থাকে সেটা সব সময় নিশ্চিত রাখতে হবে। বাজারে এখন নকল ডিম নেই এটা খুশির কথা নিঃসন্দেহে। কিন্তু সত্যি সত্যি কোনভাবে কখনও যাতে কোন প্রকার নকল ডিম বাজারে ঢুকতে না পারে সেটাও নিশ্চিত রাখতে হবে। বলা হয়েছে নকল ডিম তৈরি করতে অনেক খরচ পড়ে। তার চেয়ে আসল ডিম সস্তা। কথাটা খাঁটি। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে মানুষকে ঠকানোর জন্য কে কোথায় কবে যে কি বানিয়ে ফেলবে তা কে জানে! শুধু ডিম কেন, এ ধরনের কোন কিছু কোন দেশে যদি সত্যি সত্যি তৈরি হয়ও তাহলে তা যাতে এ দেশে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। মানুষের খাদ্য, বিশেষ করে শিশুদের খাদ্য নিরাপদ রাখতে হবে। তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য দুধ, ডিম, লজেন্স-টফি, চকোলেট বা কোন প্রকার পানীয় যাতে কোনভাবেই ক্ষতিকর না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক দিন ধরেই একটা কথা শোনা যায়। সেটা হচ্ছে ঢাকায় মুরগির জন্য যে খাবার তৈরি করা হয় তা নাকি তৈরি হয় চামড়া শিল্পের বর্জ্য দিয়ে! কথাটি কত খানি সত্যি, সত্যি হলে সে খাবার শুধু ব্রয়লার মুরগিকেই দেয়া হয়, নাকি ডিম পাড়া মুরগিকেও দেয়া হয়, নাকি ডিম পাড়া মুরগিও খায়, ওই খাদ্য কি শুধু ঢাকার মুরগিই খায়, নাকি বাইরের মুরগির জন্য পাঠানো হয় এসব বিষয়ের সুরাহা এখনও হলো না! এ অভিযোগ ঠিক হলে আসল ডিম বা আসল মুরগির মাংস নিরাপদ কিনা সেটাও দেখা দরকার। মানুষকে তার সমস্ত রকম খাদ্যের ব্যাপারে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত রাখতে হবে। দেশের স্কুলগুলোতে বহু ছেলেমেয়ে পড়ছে। সব স্কুলে যথাযথ পুষ্টিকর খাবার দেয়ার ব্যবস্থা নেই। এজন্য যতদূর সম্ভব চাল-ডাল মিশিয়ে বা সবজি দিয়ে খিচুড়ি এবং একটা করে ডিম টিফিন হিসেবে দিলে দেশের ভবিষ্যতের জন্য হবে লাভজনক। এটা যদি কখনও সবখানে দেয়া সম্ভব হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এটাও কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে যে, ডিম বা অন্যান্য দ্রব্য যেন খাঁটি হয় এবং যাদের জন্য তারাই যেন পায়। যেন কোন নেপো মাঝখান থেকে দই মারতে না পারে!
×