ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পান্থ আফজাল

ট্রাভেলারস স্টোরি ॥ নেপাল

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ২২ এপ্রিল ২০১৬

ট্রাভেলারস স্টোরি ॥ নেপাল

কল্পনা আর বাস্তবের শৈল্পিক সংমিশ্রণে সাজানো সৌন্দর্য নগরী পোখরা প্রাকৃতিক আধারে সমৃদ্ধ। পোখরার কধংশর শহরে অবস্থিত তেমন এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিদর্শন হলো ডধঃবৎভধষষ উধারং ভধষষ. স্রোতসিনী জলের ধারা এই উধারং ভধষষ. এর উৎপতিস্থল ঋবধি ষধশব হতে প্রাকৃতিক ঞঁহহবষ এর মধ্য দিয়ে। উধারং ভধষষ এর জলের ধারা প্রায় ৫০০ ফুট উঁচু হতে প্রবাহিত এবং ভূমিপৃষ্ঠ হতে এর গভীরতা প্রায় ১০০ ফুট। পোখরা উপত্যকার প্রায় ২ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকাজুড়ে এই আকর্ষণীয় টহফবৎ ধিঃবৎ ভধষষ এর অবস্থান। কথিত আছে, ১৯৬১ সালের দিকে একজন মহিলা সুইস পর্যটক দেয়া লেকে সাঁতারের সময় অনাকাক্সিক্ষত পানির স্রোতের টানে ভেসে যায় ধিঃবৎ ভধষষ এর ভেতরে। সেই থেকে তার নামানুসারে এই ভধষষং এর নাম ‘উধারং ভধষষ’ রাখা হয়। নেপালীদের নিকট সুপরিচিত ‘ঢ়ধঃধষব পযধহমড় নামে হলেও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা এটাকে উধারং ভধষষ নামেই চিনে। মাটির খুবই গভীরে নির্গত এই প্রাকৃতিক ঝরনার পানি এঁঢ়ঃবংংযধিৎ গধযধফবপধাব নামক গুহার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত। উধারং ভধষষং এর পানির উৎসের যোগান চযবধি ষধশব এর উধস হতে। নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও নিদর্শন এই ভধষষং এর পানি প্রবাহ ও ঘনত্ব বেড়ে যায় সাধারণত বর্ষাকালে। উধারং ভধষষ এর স্বচ্ছ জল ধারার প্রচ- শব্দ যে কোন দর্শনার্থীর কান ধাঁধিয়ে দেয়। স্রোত আর শব্দের দ্যোতনা মনে অনুরণন তৈরি করে। পোখরার এই অপূর্ব ডধঃবৎ ভধষষ এর সৌন্দর্যকীর্তন শোভা পায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের ডায়রিতে। উধারং ভধষষ এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ঝরনার নিকটেই রয়েছে কিছু স্থান। চারদিকে সবুজ আচ্ছাদিত আর সৌন্দর্যেও বর্ণিল চারপাশ বেষ্টিত এসব রিসোর্ট বা স্পটে রয়েছে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সিঁড়ি বা ধাপ, সিঁড়ি মাড়িয়ে যখন তখন ওপরে অবস্থান করে উধারং ভধষষ এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। চারদিকের উঁচু উঁচু ভূমি আর সবুজের অপূর্ব সন্নিবেশ এই উধারং ভধষষ এরিয়াকে দিয়েছে আলাদা সৌন্দর্য। সম্প্রতি পোখরা উপত্যকা অন্যতম গন্তব্য স্থলে পরিণত হয়েছে চধৎধমষরফরহম এবং টষঃৎধ ষরমযঃ ধরৎপৎধভঃ ভষরমযঃ এর জন্য। অপার সৌন্দর্যেও নগরীকে ভাল করে দেখতে হলে এবং আবিষ্কার করতে চাইলে উঠে পড়–ন মোটরবাইকে। রোমাঞ্চকর অনুভূতির আস্বাদন পাওয়ার বিকল্প কোন মাধ্যম নেই শুধু গড়ঃড়ৎনরশব ৎরফরহম ছাড়া। স্থানীয় বন্ধুবৎসল পরিবেশ আর রাস্তার সুপরিসর দৃশ্য মনে পুলক জাগায়। দুঃসাহসিক অভিযাত্রার স্বাদ পেতে আনন্দময় সময় কাটানোর এমন সুযোগ হাতছাড়া করা কি ঠিক হবে। আনন্দঘন মুহূর্তকাটানোর সঙ্গে উবষরপরড়ঁং খাবারের মজা নিতে চলে যেতে পারেন লেক সাইডের মাল্টি ক্রুসিন রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড বার গড়ড়হ ফধহপব ৎবংঃধঁৎধহঃ এ। এই রেস্টুরেন্টের ইটালিয়ান ও কন্টিনেন্টাল খাবারের স্বাদ নিতে প্রিয়জনের সঙ্গে বসে যেতে পারেন এই রেস্টুরেন্টে। পরিপাটি আর আলো ঝলমল পরিবেশ মনকে করে তুলবে রোমাঞ্চময়। ঐতিহ্যবাহী কাঠের সিঁড়ি আর ডেকোরেশন দ্বারা তৈরি এই রেস্টুরেন্ট সত্যিই অপূর্ব। প্রিয়জনের সঙ্গে আড্ডার সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন স্বাদের লেমন গ্রিলড মাংস পটাটো, পাস্তা কিংবা স্টিম ভেজিটেবলের মজা নিতে পারবেন দ্বিতল বিশিষ্ট এই রেস্টুরেন্টটিতে। প্রায় ২০০ মানুষ সহজেই বসতে পারে এই ডড়ড়ফ ভঁৎহরংবৎ এ ভরপুর রেস্টুরেন্ট ও বারে। বসবার জায়গার জন্য রয়েছে দুই তলা, যেটি খুবই পরিপাটি ও খোলামেলা। স্থানীয় ও ইমপোর্টেড বিভিন্ন পানীয় পাওয়া যাবে এই গড়ড়হ ফধহপব ৎবংঃধঁৎধহঃ এ্যান্ড বারে। এই রেস্টুরেন্ট ও বারটি সাধারণত আড্ডা, উঔ বাবহঃ, নরৎঃযফধু, ষঁহপয ধহফ ফরহহবৎ এর জন্য খুবই উপযুক্ত। বিশেষ বিশেষ সময়ে এই গড়ড়হ ফধহপব ৎবংঃধঁৎধহঃ খুবই সুন্দর করে সাজানো হয়। এই রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড বারে রয়েছে উঔ ঢ়ধৎঃু, খরাব সঁংরপ উপভোগ করার সুব্যবস্থা। গঁংরপ এর সঙ্গে সঙ্গে শরীর দোলাতে কে না চায়? এমন মুহূর্তে নিজেকে আবিষ্কার করুন অন্যভাবে। ফধহপব করতে করতে হারিয়ে যান সুরের মূর্ছনায় জড়পশ ংঃধৎ দের সঙ্গে। বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস আর উল্লাসে মাতুন প্রিয়জনের সঙ্গে। বারের আবেদনপূর্ণ পরিবেশ আর গঁংরপ সত্যিই অসামান্য।
×