ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অবসরে কিংবদন্তি ওয়ামবাচ

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

অবসরে কিংবদন্তি ওয়ামবাচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি এবি ওয়ামবাচ। অবশেষে ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন তিনি। মঙ্গলবার দীর্ঘ ১৫ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ওয়ামবাচ। এই সময়ের মধ্যেই রেকর্ড ১৮৪ আন্তর্জাতিক গোল করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ২৫২ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আমেরিকান ফুটবলের কিংবদন্তি হিসেবে বিবেচিত ওয়ামবাচের এই গোলের রেকর্ডের ধারে কাছেও কোন পুরুষ বা মহিলা ফুটবলার নেই। ৩৫ বছর বয়সী ওয়ামবাচ চলতি বছরের মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর নিও ওরলিন্সে চায়নার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেটিই হবে ওয়ামবাচের ফুটবলীয় ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এক বিবৃবিতে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গিয়ে ওয়ামবাচ বলেন, ‘বন্ধু, পরিবার, সতীর্থ ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনার পর অবশেষে আমি আমার ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করতে যাচ্ছি। বিশ্বকাপের শিরোপাটা যুক্তরাষ্ট্রে আনার পরেও এখনও মহিলা ফুটবলে আমাদের অনেক কাজ বাকি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা ফুটবলের ভবিষ্যত নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী। ক্যারিয়ারের পুরো সময়টা দারুণ উপভোগ্য ও চমৎকার ছিল। দেখা যাক জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।’ চার বিশ্বকাপে খেলার অসামান্য কীর্তি গড়েছেন এবি ওয়ামবাচ। এ বছর কানাডা বিশ্বকাপেও আমেরিকার কা-ারি ছিলেন তিনি। খেলেছেনও দুর্দান্ত। তার পারফর্মেন্সের সৌজন্যেই বিশ্বকাপের শিরোপাটা ঘরে তুলে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপ ছাড়াও দুটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ২০০৪ এ্যাথেন্স ও ২০১২ লন্ডন আসরে যুক্তরাষ্ট্রকে স্বর্ণপদক উপহার দিয়েছিলেন। ইনজুরির কারণে অবশ্য ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে ওয়ামবাচের অংশ নেয়া হয়নি। মহিলাদের বিশ্বকাপে তিনি ১৪ গোল করেছেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্তার পর এবি ওয়ামবাচই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক। যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা ফুটবলে অসামান্য অবদান রেখেছেন ওয়ামবাচ। তাই বিদায় বেলায় তার ভূয়সী প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোচ জিল এলিস। তিনি বলেন, ‘এবি এমন একজন খেলোয়াড় যে আমাদের ফুটবলের চেহারাটাই পাল্টে দিয়েছে। নিজের প্রতিভা দিয়েই সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে। সার্বিকভাবে সে মহিলা ফুটবলের জন্য যা করেছে তা সকলের জন্য অনুকরণীয়। তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা এখানে কাজে লেগেছে। বিশ্বকাপের দারুণ একটি শিরোপাকে সঙ্গী করে সে ফুটবল থেকে বিদায় নিচ্ছে, এ জন্য আমি দারুণ খুশি। শিরোপাটা তার প্রাপ্য ছিল, এর চেয়ে ভাল সময় আর হতে পারে না তার।’
×