ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ইট একটি দেশজ পণ্য। ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি হিসেবে মূলত কয়লা ব্যবহার করা হয়। নির্মাণ সামগ্রীর অন্যতম উপাদান হচ্ছে ইট। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে উন্নয়ন ও ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ইটভাঁটির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। দেশের বর্তমানে ৬ হাজারের ওপরে ইট-ভাঁটি রয়েছে। বার্ষিক উৎপাদন ১.৭৫০ কোটি ইট। এ সব ইটভাঁটির মৌসুমে ৩০ লাখের বেশি শ্রমিক কর্মরত থাকেন এবং সারা বছরে আরও অধিকসংখ্যক শ্রমিক ও কর্মচারী ইট পরিবহনে, নির্মাণ ও বিপণন কজে নিয়োজিত থাকেন। ফলে গ্রামীণ এলাকার শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়েছে। অথচ কয়লার অভাবে দেশে ইটভাঁটিতে ইট পোড়ানো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কয়লার অভাবে ইটভাঁটিগুলোতে বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইটের স্টক সৃষ্টি হচ্ছে। তাই উৎপাদিত কাঁচা ইট না পোড়ানো গেলে ভাটা মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হবেন এবং ইট উৎপাদনের ঘটতির ফলে ইটের মূল্য বৃদ্ধি ও উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। তাই উল্লিখিত সমস্যাগুলোর সমাধানে কয়লা আমদানির জটিলতা নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ পয়োজন। সৈয়দ সাইফুল করিম মিরপুর, ঢাকা। নীতি বেচাকেনার মহাজন অলি রাজনীতিক অলি আহমদের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। বুদ্ধির ঢেঁকি অব. কর্নেল অলি আহমদ ১২০ ধারার অনেক আগে বিকল্পধারায় যুক্ত ছিলেন। সে ব্যবসায় লোকসান হওয়াতে লাল বাতি নিভিয়ে নতুন ব্যবসা লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামে একটি একক রাজনৈতিক দলের সভাপতি ঘোষণা করেন নিজেকে। প্রায় এক ঘরে বসবাস করা অলি আহমদ পত্রিকা ও মিডিয়াতে নাম এবং ছবি আসার জন্য আবোল-তাবোল যতসব বাজে কথা বলে যাচ্ছেন। মনে হয় মগজধোলাই করেছে বিএনপি-জামায়াত। রাজনীতিক কর্নেল অলিকে জিজ্ঞাসা করি, ১৯৭১ স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল ছিল কি? বিএনপির জন্ম কত সালে? সেক্টর কমান্ডাররা বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের অধীনে থেকে নির্দেশ ক্রমে যুদ্ধ করেছে পাকিদের বিরুদ্ধে। সেই অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মেজর জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন পাক সেনাসদস্য। জীবনে রাজনীতি করেন নাই। জেল খাটেন নাই, মঞ্চে ভাষণ দেন নাই এমন কি ১৯৭১ সালে ও তার আগে এই সেনাসদস্যের নাম জনগণ শোনেওনি নাই তা’হলে মেজর জিয়ার ডাকে মুক্তিযুদ্ধ হলো কিভাবে? মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক হলেন কি করে? বলেছে কি? নিজের দলের নামটি দিয়েছেন ইংরেজী ভাষায়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছে বলেই মুক্তিযুদ্ধের খেতাব পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাপত্রে তাঁর বার্তাটি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে পাঠ করার সুযোগ পান মেজর জিয়া। কর্নেল অলি ভালভাবেই জানেন একজন সেনাসদস্য হঠাৎ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন না। মি. অলি সত্য বলুন তো মেজর জিয়ার ডাকে দেশের জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন এটা গাজাখুড়ি গল্প নয় কি? আপনি শ্রেষ্ঠ তোষামোদকারী সন্দেহ নেই। কিন্তু মিথ্যার মার খাদ্যনালীতে ঢুকার পরেও কি বিএনপি হতে তিরস্কৃত, অপমানিত হননি? ও হ্যাঁ আপনিও তো সেনাসদস্য ছিলেন। মায়াকান্না হতেই পারে। স্বাধীনতাযুদ্ধের দশটি মাস আপনার নেত্রী কোথায় ছিলেন? ক্ষমতায় থেকে বেগম জিয়া বীর সৈনিক বীরাঙ্গনাদের তালিকা তৈরি করে সম্মান দেখালেন না কেন, সে প্রশ্ন করেছেন কি? পাকিদের বিরুদ্ধে রাজাকার আলবদর, আলশামস, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কখনও নিন্দা প্রকাশ করেছেন কি? জাতির পিতার মাজারে যেয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন কি? তাহলে আপনাদের মতো স্বঘোষিত বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞজনদের ‘দেশের কল্যাণের মিথ্যা ঘোষণা’ দিয়ে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি? ঐক্যর কথা বলে জাতিকে ধোকা দিচ্ছেন? মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনকারী বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র খাজাঞ্জীখানা হতে মাসিকভাতা গ্রহণ করার পরও জাতির পিতাকে মেনে তাঁর মাজারে যেতে অনিচ্ছুক, তাঁর বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলেন না কেন? মেছের আলী শ্রীনগর। স্বাস্থ্য সহকারীদের সুখ-দুঃখ স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মচারীদের পদের নাম স্বাস্থ্য সহকারী। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের যত সাফল্য রয়েছে তার প্রতিটির অন্যতম নেপথ্য কুশীলব এই স্বাস্থ্য সহকারীগণ। এই আবহমান বাংলায় যখন শোনা যয় কোন পোলিও রোগী নাই, যক্ষèা রোগী, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ক্রমহ্রাসমান তখন একজন স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে মনে অনাবিল সুখের সুবাতাস বয়ে যায়। আশির দশক থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সহকারীগণ নিরলসভাবে সফলতার সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। টিকা দেয়া ও খাওয়ানো একজন দক্ষ টেকনিক্যাল লোকের পক্ষেই সম্ভব। আর এই টেকনিক্যাল কাজটিই শতভাগ দক্ষতা দিয়ে একজন স্বাস্থ্য সহকারী করে থাকেন। প্রতিটি স্বাস্থ্য সহকারীকে মাসব্যাপী প্রায় একত্রিশ প্রকারের কাজ শতভাগ সম্পূর্ণ করতে হয়। অথচ প্রতিটি স্বাস্থ্য সহকারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সপ্তাহে প্রতিদিন (ছুটির দিন বাদে) নিজস্ব ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এমনকি উপজেলা সদরেও তাঁদের যাতায়াত করতে হয়। কি রোদ, বৃষ্টি কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে ছুটে চলতে হয় নিরন্তর। তাদের দাবি শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা সকল স্বাস্থ্য সহকারীগণকে টেকনিক্যাল মর্যাদা প্রদান করে বেতন কাঠামো গঠন এবং যাতায়াত ভাতা প্রতিদিন ন্যূনতম ১৫০ টাকা হারে প্রদান করা সংগত হয়ে পড়েছে। মানবকল্যাণের স্বাস্থ্যসেবা হোক সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতার এই প্রত্যাশা সকলের। মোঃ কবীর হোসাইন শ্রীপুর, গাজীপুর। শিশু জিহাদের ত্যাগ শিশু জিহাদ আর কোনদিন ফিরে আসবে না তবে শিশুটির মৃত্যু আমাদের অনেক শিক্ষা দিয়ে গেল। গতানুগতিকভাবেই হয়ত এ থেকে কিছুই শিখব না, কেননা আমরা এমনই! অতীতের বহু দুর্ঘটনায় আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সচেতন হইনি। যে কারণে বার বার আমাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের প্রতি অবহেলার কারণেই শিশু জিহাদকে জীবন দিতে হয়েছে। অথচ এখনও সে অর্থে দায়িত্বশীলদের কোন শাস্তি দেয়া হয়নি। একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুধু কি কর্মকর্তাই দায়ী? কর্মচারী থেকে শুরু করে উপরস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া আবশ্যক। শুধু সাময়িক বরখাস্ত করলেই হবে না, বরং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। দেশবাসী স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়। মৃত্যুকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে কিন্তু জিহাদের এ মৃত্যু কি মানা সম্ভব? জিহাদের মৃত্যু পুরো দেশবাসীকে যেভাবে শোকাহত করেছে, অন্যান্য অস্বাভাবিক মৃত্যু যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যার কারণে যে মৃত্যু হয় তাও কি আমাদের এভাবে শোকাহত করে? অথচ অস্বাভাবিক প্রতিটি মৃত্যুর রোধে কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাতকারে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বললেন, জিহাদকে উদ্ধার করতে যে ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম দরকার তা তাদের নাই। কেন থাকবে না? যে দেশ শত কোটি টাকার মরণঘাতী অস্ত্র কিনতে পাওে, সে দেশ কেন কয়েক কোটি টাকার জীবনরক্ষাকারী আধুনিক সরঞ্জাম কিনবে না? প্রশ্ন করলে প্রশ্ন জন্মাতেই থাকবে, কিন্তু কে দেবে উত্তর কিংবা এসব প্রশ্নের উত্তর কি? শিশু জিহাদের প্রাণনাশের ক্ষেত্রে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যতটা দায়ী তার চেয়ে তার বাবা-মা কম দায়ী নয়। মাত্র ৪ বছরের একটি শিশু দুপুর বেলা কাদের সঙ্গে বের হয়ে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে এ খবর রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়। পরিবারের শিশু সদস্যের প্রতি এমন উদাসীনতা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। শিশু জিহাদ যদি গভীর পাইপের মধ্যে না পড়ে পানিতে পরে মারা যেত তবে হয়ত রেলওয়ে কলোনির বাইরে সে খবর পৌঁছত না। কাজেই এ ঘটনা থেকে সকল অভিভাবককে শিক্ষা নিতে হবে। সরকারী প্রশিক্ষিত কর্মীরা যেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হলো সেখানে কয়েকজন যুবক সাদামাটা প্রচেষ্টায় সফল হয়ে গোটা দেশবাসীকে আবারও জানিয়ে দিল তারুণ্যের শক্তি। সুতরাং সরকারের কাছে আবেদন থাকবে, তরুণদের সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে তুলুন। এই তরুণরাই পারবে দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে। সমাজ, রাষ্ট্র যদি তরুণদের সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয় তবে রাষ্ট্রের ধ্বংসের জন্য এ তরুণরাই যথেষ্ট হবে। রাজু আহমেদ ৎধলঁ৬৯সধঃযনধৎরধ@মসধরষ.পড়স ডাক বিভাগ ও বাকৃবি আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এখন সরকারি ডাক বিভাগে রয়েছে। বিশেষ করে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ইএমএস এর একটি সার্ভিসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এবং দেশের বাইরে যে কোন ধরনের পার্শেল ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারি দেয়া হয়। আর জিইপি সার্ভিস দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নানা ডকুমেন্ট ডেলিভারি দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থ লেনদেনে ইএমও নামে একটি সার্ভিস রয়েছে, যেটির মাধ্যমে মাত্র ১ মিনিটে টাকা প্রেরণ ও বিলি করার সুযোগ রয়েছে। এটি শুধু দেশের মধ্যে। এর জন্যে ব্যায় হয় প্রথম হাজারে ২৭ টাকা, এরপর প্রতি হাজারে ১০ টাকা। আর অর্থ লেনদেনে পিওএস কার্ড তথা ক্যাশ কার্ড নামে আরেকটি সার্ভিস রয়েছে যা এটিএম বুথের মতো। এ সার্ভিস দ্বারা দেশের যে কোনো প্রান্তে হোক, সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়া যায়। এর জন্য ব্যয় মাত্র পাঁচ টাকা, তা যত বড় অঙ্কের হোক। এদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকলেও দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নেই ইএমএস সুবিধাটি। এই সুবিধাটি বাকৃবি ক্যাম্পাসে বিদ্যমান পোষ্টঅফিসে পুনর্বহাল করা জরুরী। এসএম আশিফুল ইসলাম মারুফ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ। ফুটওভারব্রিজ প্রয়োজন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন পৌরসভার বারাবো বাজারের পশ্চিমে ঢাকা-নরসিংদী একটি ব্যস্ত সড়ক। সড়কটি চার রাস্তার সংযোগস্থল। জনবহুল এলাকা হিসাবে প্রতিনিয়ত পথচারীর ব্যাপক গমনাগমন ঘটে এখানে। কিন্তু প্রায়শই এ চৌরাস্তায় লোকজন পারাপারে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ইতিপূর্বে এ সড়ক পারাপারে অনেকই পঙ্গুত্ববরণসহ বেশ কয়েকজন নারীপুরুষ ও শিশুর মৃত্যুও ঘটেছে। জনস্বার্থে জরুরিভিত্তিতে এ স্থানে একটি ফুটওভার ব্রিজ একান্ত প্রয়োজন। মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বারাবো বাজার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। জ্ঞানপাপীরা ঘৃণার যোগ্য বেগম জিয়া, তারেক রহমান এবং তাদের কিছু অনুসারী, দেশে কিছু বিজ্ঞ জ্ঞানপাপীদের অপপ্রচারে দেশের সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত, অর্থবিত্তের প্রলোভনে তারা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছে। বর্তমান তরুণ সমাজের একাংশ বিভ্রান্ত হয়ে, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে। মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু নিয়ে কটুক্তি করে দেশের শিক্ষিত কিছু জ্ঞানপাপী ইতিহাস বিরোধী কথায় হাততালি দেয়। ১৫ আগস্ট বায়বীয় জন্মদিনে দানবীয় কেক কাটে। প্রত্যেক দেশে স্বাধীনতার জনক শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার পাত্র। ব্যতিক্রম শুধু এই দেশে, স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা স্বাধীন জাতিকে পছন্দ করেন। অথচ দেশের কিছু অর্বাচীন ব্যক্তি অথর্ব জ্ঞানপাপী জেনেশুনে মানুষকে পথভ্রষ্ট করা অপচেষ্টায় লিপ্ত, পথহারা পথিকের মতো তারা পথিকের পদলেহনকার। তারা বিকৃত মানসিকতার, মিথ্যাচারের আস্ফালনকারীদের অনবরত বাহবা দিচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে আবার সেই বাংলার মসনদ দখল করে স্বপ্নের প্রাচুর্য এবং অর্থ লোপাটের। অথচ এদের কারণে আজ অসাম্প্রদাযিক বাংলাদেশ জঙ্গীদের আস্তানায় পরিণত। কাজেই শঙ্কা হয় এদের হাতে পড়লে দেশ আবার ৫০ বছর পেছনের দিকে ধাবিত হবে, কাজেই সাধু সাবধান? জ্ঞানপাপীদের খপ্পর থেকে বিরত থাকুন। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী। বাঙালীর অতিথি আপ্যায়ন বাংলাদেশে নবান্ন উৎসবের লগন থেকে শুরু হয় শীতের হিমেল হাওয়া, নবেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে অনুভব করা যায় সম্পূর্ণ শীতের আমেজ, এই সময় থেকে এদেশে শুরু হয় পৃথিবীর শীতপ্রধান অঞ্চলগুলো থেকে ঝাঁক বেঁধে অতিথি পাখির আগমন, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই পাখিদের আগমন ঘটে থাকে এবং শীত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাখিরা তাদের পূর্বের আবাসস্থানে ফিরে যায়। তাই, এই পাখিরা আমাদের অতিথি। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন, সুনামগঞ্জের হাওর, মৌলভী বাজারের হাকালুকি হাওর, ঢাকার চিড়িয়াখানা এবং সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়গুলোয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বিল ও হাওর জলাগুলোতে এরা তাদের সাময়িক আবাস গড়ে তোলে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ, খুলনা, নোয়াখালী ও যশোরের বিল ও জলাশয়গুলোতে অনেক অতিথি পাখি আশ্রয় নেয়। পুরো শীতজুড়েই জল বা জলাধারে থাকে অতিথি পাখিদের বিচরণ। মূলত হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এবং সুদূর সাইবেরিয়া পাড়ি দিয়ে এরা শীতের অতিথি হয়ে আসে। অতিথি পাখিদের মধ্যে কাইন, রাঙ্গে, টেকুর, ডাক, বালিহাঁস, কোড়া, কুললা, গুলিন্দা, রক্তানদী, বটান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। জলের ধারে আশ্রয় নেয়া এই পাখিগুলোর বিচরণ একদিকে যেমন হৃদয়গ্রাহী ও দৃষ্টিনন্দন, অন্যেিদক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, কিছু মানুষের নিষ্ঠুর আচরণে শীতের এই অতিথিদের অবাধ বিচরণকে সঙ্কটময় করে তোলে। প্রতিবছরই শীতের সময় কিছু মানুষ অতিথি পাখি নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে। ফাঁদ পেতে এবং বিষটপ খাইয়ে অতিথি পাখি শিকার করা হয়। চোরাশিকারীরা রাতের আঁধারে পাখি নিধন করে। কযেক বছর ধরে এসব পাখি শিকারীদের অত্যাচারে দেশের জলাশয় ও বিলগুলোতে অতিথি পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। পাখি শিকার দ-নীয় অপরাধ জেনেও গোপনে পাখি নিধন চলছে। এভাবে মানুষের ধারাবাহিকভাবে বিচারবুদ্ধিহীন কার্যকলাপের কারণে অতিথি পাখির জীবন বিপন্ন হয়ে উঠছে। কিন্তু কিছু বিবেকহীন মানুষের জন্য এই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির অতিথিদের যেমন আমরা আদর যতœ ভালবাসায় পরিপূর্ণ করি ঠিক পাখিও তেমনি আমাদের দেশের অতিথি। তাই এদের ভালবাসা, আদর যতেœ পরিপূর্ণ রাখা এবং নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব। ফারহা নুর বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। ইতিহাস বিকৃতদের চরিত্র নেই কেন? পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক ছবি হয়েছে। বলব, এর অধিকাংশ ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা তুলেও ধরা হয়নি। অথচ বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের ছবি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সেদিন এক অর্থে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপরই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা শুরু করে দেয় স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে জোটবাঁধা শাসকরা। যারা যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে তাদের নাম উন্মোচিত করে দেয়ার জন্য নাটকে ও ছবিতে এ পর্যন্ত দেখিনি কোন চরিত্র। পত্রিকার কলামিস্টরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতদের চরিত্র লিখনির মাধ্যমে বারবার ফুটিয়ে তুলেছেন। এজন্য তাদের বাহবা জানাই। অথচ চলচ্চিত্র নির্মাতা, কথা সাহিত্যিক, উপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, কবিÑ এরা কেউই এতদিনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতদের চরিত্র নিয়ে কিছুই লিখতে পারেন নি। এটা তাদের ব্যর্থতা নয় কী? লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা।
×