
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
গাইবান্ধার সাঘাটায় সিজু নামে এক শিবির নেতাকে থানার সামনের পুকুরে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে ।নিহত সিজু গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সাঘাটা থানার সামনের পুকুরে সিজুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সকাল ১০.৩০ হতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন চলাকালীন বিকাল ৩ টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিশনাল ডিআইজি জানান, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের লক্ষ্য।" সিজু নিহত হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রেখেছে।
উল্লেখ্য: পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পুকুরে ঝাঁপ দেয় সিজু মিয়া। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাঘাটা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরের কচুরিপানার মধ্য থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অজ্ঞাতনামা হিসেবে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরের দিন শনিবার পুকুরে সিজুকে পুলিশ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে সেই দিনই গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে এলাকাবাসি। পরের দিন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক ও স্থানীয়রা ৷
এ ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ অপর সদস্যদ্বয় হলে মোছাঃ রুনা লায়না অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম ম্যানেজম্যান্ট ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম।
পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্রোহ কুমার (এ-সার্কেল) গাইবান্ধা।
মিরাজ খান