
ছবি: জনকন্ঠ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রোগী ও তাদের স্বজনরা আতঙ্কে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। মুহূর্তের মধ্যেই ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। তবে এতে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ইয়াসিন, মেহেদি ও মুছা নামের তিন কর্মচারী আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায়, দাউদকান্দি উপজেলা গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় স্টোর রুমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ওয়ার্ড এবং বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার স্টোর রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তখন পাশের ওয়ার্ডের রোগীর স্বজন ও নার্সরা ‘আগুন! আগুন!’ বলে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আতঙ্কে অনেকেই দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. ইদ্রিস বলেন, "খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ও হাসপাতাল কর্মীদের সহযোগিতায় অল্প সময়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। বিস্তারিত তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।"
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, "হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ডেঙ্গু রোগীদের ওয়ার্ডের পাশের কক্ষে অবস্থিত স্টোর রুমে ওষুধসহ রোগীদের সেবায় ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল এবং কিছু দামি সরঞ্জাম ছিল। আগুনে অধিকাংশ মালামালই পুড়ে গেছে। কিছু মালামাল বের করা গেলেও সেগুলো ভালো আছে কিনা পরে যাচাই করে বলা যাবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।"
ঘটনার পরপরই দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শহীদ