
ছবি: জনকণ্ঠ
ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও সরকার এখনো ঘোষণাপত্র ও সনদ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, “আপ বাংলাদেশ গত ৩০ জুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণাপত্র ও সনদসহ পাঁচ দফা দাবিতে জুলাই মাসজুড়ে দেশব্যাপী গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করেছে। আমরা পূর্বেই বলেছিলাম, সরকার যদি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই দাবি পূরণ না করে, তবে ১ আগস্ট আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব। এখন সেই বিক্ষোভ কর্মসূচি গণজমায়েতে রূপ নেবে ইনশাআল্লাহ।”
আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, “ঘোষণাপত্র ও সনদ আগামীকালকের (৩১ জুলাই) মধ্যে না পেলে ১ আগস্ট বিকাল ৩টায় ঢাকার শাহবাগে আমরা গণজমায়েত করব। ঢাকার সব নাগরিক ও দেশের মুক্তিকামী জনগণকে ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। শহীদ ওয়াসিম যেভাবে চট্টগ্রামের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিলেন 'চলে আসুন ষোলশহর'— আমরাও একইভাবে বলছি: ১ আগস্ট ‘চলে আসুন শাহবাগে’। এবার আমরা ঘোষণাপত্র ও সনদ আদায় করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত খসড়া সনদ সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি, কিন্তু সেটিকে “দুর্ভাগ্যজনক” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই খসড়া সনদে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই। তাই আমরা এটিকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।”
জুনায়েদ দাবি করেন, “এই খসড়া সনদের পটভূমিতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সংগ্রামের ধারাবাহিক কোনো স্বীকৃতি নেই। জমিদারপ্রথার বিরুদ্ধে শোষিত বাঙালি মুসলমান ও নিম্নবর্গের হিন্দুদের সংগ্রাম, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ আন্দোলন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফায় রূপ নেওয়া ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ট্রাকচালক, ছিন্নমূল ও পথশিশুদের লড়াইয়েরও কোনো উল্লেখ নেই।”
তিনি বলেন, “গত সাড়ে পনেরো বছরের শাসনামলকে খসড়ায় কেবল স্বৈরাচারী বলা হয়েছে, অথচ এটি ছিল ফ্যাসিবাদী শাসনামল। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, আল্লামা সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সংঘটিত গণহত্যা, মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়কার গণহত্যা— এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও সনদের পটভূমিতে অনুপস্থিত। আমরা এসব সংগ্রামের স্বীকৃতি দাবি করছি এবং তা সনদের পটভূমিতে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
আবির