
ছবিঃ সংগৃহীত
এক সময় চীনের সবচেয়ে আধুনিক ও উচ্চপ্রযুক্তির যুদ্ধবিমান J-20 ছিল এক গভীর প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখে। তারা নিজস্ব শক্তিশালী ইঞ্জিন তৈরি করতে পারছিল না, ফলে নির্ভর করতে হতো রাশিয়ান ইঞ্জিনের ওপর। কিন্তু সেই সীমাবদ্ধতা এখন ইতিহাস।
রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা থেকে যাত্রা শুরু
প্রায় দুই দশক ধরে চীন রাশিয়ার AL-31F ইঞ্জিন ব্যবহার করে এসেছে, যা মূলত সুখোই Su-27 যুদ্ধবিমানের জন্য তৈরি হয়েছিল। ২০০২ সালে লেখক রুবেন জনসন মস্কোতে একটি এভিয়েশন এক্সপোতে অংশ নেন, যেখানে রাশিয়ার বিভিন্ন অ্যারো ইঞ্জিন প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়েছিল। সেই সময় চীন এই প্রযুক্তি থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করে এবং ধাপে ধাপে নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে তোলে।
কপি থেকে উদ্ভাবনে রূপান্তর
শুরুতে চীন রাশিয়ার প্রযুক্তি অনুকরণ করলেও, পরে তারা আরও উন্নত পশ্চিমা বাণিজ্যিক ইঞ্জিনের কাঠামো বিশ্লেষণ করে নিজস্ব ইঞ্জিন তৈরির পথ ধরে। এই যাত্রায় চীন তৈরি করেছে WS-10 নামের একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং আরও উন্নত WS-15, যা এখন সরাসরি J-20 বিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি
চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ইঞ্জিনগুলো এখন J-20-এ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা তাদের সামরিক খাতে এক বিশাল অর্জন। এর মাধ্যমে চীন শুধু একটি বড় প্রযুক্তিগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে না, বরং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সামরিক প্রযুক্তির ব্যবধানও অনেকটাই কমিয়ে এনেছে।
এই পরিবর্তন চীনের জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন তারা বাইরের দেশের ওপর না নির্ভর করে নিজেই তাদের উন্নত যুদ্ধবিমান তৈরির ক্ষমতা রাখে—যা ভবিষ্যতের যেকোনো সামরিক প্রতিযোগিতায় চীনকে অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।
সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়:
চীন আর রাশিয়ার ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করছে না। J-20 যুদ্ধবিমান এখন চীনের নিজের তৈরি শক্তিশালী ইঞ্জিনে উড়ছে। এটি শুধু প্রযুক্তির অগ্রগতি নয়, বরং একটি জাতীয় আত্মনির্ভরতার প্রতীক।
মারিয়া