ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

শেষদিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার জ্যোতিদের

মো. মামুন রশীদ

প্রকাশিত: ২২:৪২, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শেষদিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার জ্যোতিদের

.

ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল কোনো পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের কাছে। কিন্তু তারা টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ১২ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি২০তে আইরিশ মেয়েরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। এরপর উদ্বোধনী জুটিতে ১২ ওভারেই রেকর্ড ১০৩ রান করে জয়ের পথে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষদিকে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয় বরণ করেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড।
মিরপুরে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তাই বেশ আত্মবিশ^াসী হয়েই টি২০ সিরিজে নামে জ্যোতিরা। টস হেরে বৃহস্পতিবার প্রথম টি২০ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে নামেন তারা। শুরুতে বোলিংটা ভালোই হয়েছে। কিন্তু রানের গতি ঠিক রেখেছে আইরিশ মেয়েরা। যদিও পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৫ রান করতে সক্ষম হয় তারা। অ্যামি হান্টার ১৩ বলে ১০ ও ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট ১৫ বলে ১১ রানে বিদায় নেন। কিন্তু এরপর ঝড় তুলেছেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস ও লিয়াহ পল। তারা তৃতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়েন মাত্র ৬৪ বল মোকাবিলায়। তৃতীয় উইকেটে এটি তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। এতেই বিশাল সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় সফরকারী মেয়েরা। গ্যাবি ৩২ বলে ও লিয়াহ ২৮ বলে অর্ধশতক পেয়ে যান। অধিনায়ক গ্যাবি ৪২ বলে ৭ চার, ২ ছক্কায় ৬০ রানে ফিরে গেলেও ততক্ষণে সংগ্রহটা অনেক বড় হয়েছে আইরিশদের। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা লিয়াহ। তিনি মাত্র ৪৫ বলে ১০ চার, ২ ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে আয়ারল্যান্ড নারী দল। অফস্পিনার জান্নাতুল ফেরদৌস ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন। ১টি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই রেকর্ড জুটি গড়ে বাংলাদেশ। আয়েশা রহমান শুকতারা ও রুমানা আহমেদ ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে আগের রেকর্ডটির মালিকানায় ছিলেন। এবার দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারি বিধ্বংসী ব্যাটিং করে মাত্র ১১.৫ ওভারে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু সেই ওভারের শেষ বলে সোবহানা সাজঘরে ফেরেন ৩৫ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায়। অধিনায়ক জ্যোতিও বেশিদূর যেতে পারেননি। ৫ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। কিছুক্ষণ পর দিলারাও ৪১ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে তখনো জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কারণ ৩৮ বলে ৬০ রানের প্রয়োজন ছিল এবং হাতেও ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু তাজ নেহার ১৪ বলে ৩ চারে ১৯ রান করলেও স্বর্ণ আক্তার ১, রিতু মনি ০, জান্নাতুল ০ রানে বিদায় নেন। তবু শেষ ২ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮ রান দরকার পড়ে বাংলাদেশের। সেখান থেকে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে শেষ ৭টি উইকেটের পতন হয়েছে মাত্র ৫৪ রানে। এই ব্যর্থতাই ১২ রানের হার ডেকে এনেছে। শারমিন সুপ্তা ১৩ বলে ২ চারে ২৩ রানে অপরাজিত থাকলেও বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষ করেছে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান নিয়ে। প্রেন্ডারগাস্ট ও আরলিন কেলি ৩টি করে উইকেট নিয়ে ধস নামান বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে।

×