কেন মুখ ঢাকলেন ঋতুপর্না

টানা দুই জয়ে এক মাচ হাতে রেখেই এশিয়া কাপের টিকিট নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ইয়াঙ্গুনে শক্তিশালি মিয়ানমারের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের পথে দুটি গোলই করেছেন ঋতুপর্না চাকমা। দু-হাতে মুখ ঢেকে উদযাপন করেন সেনসেশনাল এ উইঙ্গার। সে দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

কি ভেবে এভাবে উদযাপন করলেন রাঙামাটির কাউখালি থেকে উঠে আসা ২১ বছর বয়সি তারকা ফুটবলার?‘(অমন উদযাপনের) কোনো কারণ নেই। যখন আমি দ্বিতীয় গোলটা করি। এটা আমি আসলে… এই অনুভূতি আমি আসলে বলে প্রকাশ করতে পারব না। আমি খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।’ আজ (শুক্রবার) বাফুফের পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বলেন ঋতুপর্ণা।

বিকেলে মিয়ানমারকে হারায় বাংলাদেশ। রাতে বাহরাইন-তুর্মেনিস্তান ম্যাচ ২-২এ ড্র হলে এশিয়া কাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় মেয়েদের।‘(এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠার) অনুভূতি আসলে বলে প্রকাশ করতে পারব না। আমরা যখন জানতে পারি যে, আমরা কোয়ালিফাই করেছি, এটা আসলে কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা বহু বছর পর এত কষ্ট করে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন।’

‘জেতার পর মাকে কল দিয়েছি। পরিবারের সবাইকে। তারা সবাই খুব খুশি দুটি গোল করেছি দেখে। মা তো অসুস্থ। আমার গোল করার কথা শুনে সে অনেক খুশি, বলছিল যে তার আর নিজেকে অসুস্থ লাগছে না। আমরা আসলে কোনো উদযাপনই করিনি। আরেকটা ম্যাচ (শনিবার তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে) বাকি আছে। তারপর উদযাপন করার পরিকল্পনা আছে।’

সামনের পথচলায় সমর্থকদের পাশে চাইলেন ঋতুপর্ণা,‘বাংলাদেশের সমর্থকদের অবশ্যই বলব, যেভাবে আমাদের সমর্থন করে যাচ্ছেন, আগামীতেও যেন এভাবে সমর্থন দিয়ে যান। ইনশাল্লাহ আপনাদের সমর্থনে আমরা আরও ভালো রেজাল্ট এবং আরও ভালো একটা জায়গায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারব।’

“আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল আমরা যেহেতু দুবার সাফ চ্যাম্পিয়ন, এখন আবার কোয়ালিফাই করলাম। ধীরে ধীরে আমার লক্ষ্য ছিল এশিয়ান কাপ খেলার। বাংলাদেশ দলকে একটা ভালো পর্যায় ও ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। সেটাই আমরা ধীরে ধীরে করছি।’

ঋতুপর্ণা প্রশংসায় ভাসালেন কোচ পিটার জেমস বাটলারকে, যার বিরুদ্ধে গত উইমেন’স সাফ জয়ের পর ‘বিদ্রোহ’ করা ১৮ জনের মধ্যে ছিলেন তিনি নিজেও। মিয়ানমার ম্যাচের পরই বাটলার বলেছিলেন, ঋতুপর্ণা মধ্যপ্রাচ্য বা আরও ভালো মানের লিগে খেলার সামর্থ্য রাখে।‘আমরা একটা ভালো কোচ পেয়েছি। উনি সবসময় আমাদের ভালোই চান। উনি যে প্রশংসা করেছেন, জানি না এর কতটুকু (আমার) প্রাপ্য।’ বলেন ঋতুপর্না।