
ছবি: সংগৃহীত
এআই প্রযুক্তির অগ্রগতিতে বিস্ময় যেমন আছে, তেমনি আছে ভয়। সম্প্রতি ওপেনএআই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান নিজেই স্বীকার করেছেন, কিছু এআই টুল ব্যবহার করতে গিয়ে তিনি ভয় পান। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
এক জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট This Past Weekend-এ উপস্থাপক থিও ভনের সঙ্গে আলাপকালে অল্টম্যান বলেন, “কখনো কখনো আমি কিছু এআই টুল ব্যবহার করতে ভয় পাই, কারণ আমি জানি না ঠিক কতটা ব্যক্তিগত তথ্য দিচ্ছি, কিংবা কে তা দেখতে পারবে।”
থিও ভনের প্রশ্ন ছিল—এই দ্রুতগতির এআই উন্নয়নের গতি কি কমানো উচিত? জবাবে স্যাম অল্টম্যান জানান, বর্তমান সময়ের এআই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক দিক থেকে নয়, বরং ভবিষ্যৎ সমাজ ও সভ্যতার জন্য একটি প্রভাব বিস্তারকারী দৌড় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “যদি আমরা ধীরে চলি, তাহলে অন্য কেউ দ্রুত এগিয়ে যাবে। আর তখন যারা এর সামাজিক পরিণতি নিয়ে ভাবেন, তাদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে।”
মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার কথাও তুলে ধরেন অল্টম্যান। তিনি বলেন, “আমরা ইতিহাস জুড়েই নিজেদের গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে পছন্দ করি। এমনকি যদি একদিন সব কাজ এআই করে, তবুও আমরা গল্পটা এমনভাবে বলব যেন আমরাই নায়ক।”
এআই এসে কি চাকরি কেড়ে নেবে?
এআই প্রযুক্তির কারণে চাকরি হারানোর শঙ্কা নিয়েও কথা বলেন ওপেনএআই প্রধান। উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল, “মানুষ বাঁচবে কীভাবে?” জবাবে অল্টম্যান বলেন, “এআই মানুষের সামনে সৃজনশীল, দার্শনিক কিংবা আন্তঃসম্পর্কমূলক কাজের সুযোগ এনে দেবে। মানুষ চিন্তা করতে পারবে—সমাজে অবদান রাখার অর্থ কী।”
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এ পরিবর্তনের ধাক্কা অনেকের জন্য হবে কঠিন, বিশেষ করে যারা স্বল্পমেয়াদে চাকরি হারাবেন।
স্যাম অল্টম্যানের এই মন্তব্যগুলো এটাই স্পষ্ট করে যে, এআই-এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার পাশাপাশি ঝুঁকিও অনেক। আর সেই ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন ওপেনএআই-এর মতো সংস্থার প্রধানও।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাকিব