ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রাঙ্গাবালীর দুই ইউনিয়ন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত

আ: রহিম গাজী, রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২৬ জুলাই ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রাঙ্গাবালীর দুই ইউনিয়ন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত

ছবিঃ সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বেড়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর দুই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

রাঙ্গাবালীর আগুনমুখা ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পানি উপচে এবং কোথাও কোথাও ভেঙে পড়া বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এতে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য-চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গরুভাঙ্গা গ্রাম এবং চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকা প্লাবিত হয়।

উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের নয়ারচরের গ্রামের বাসিন্দারা জানান, অনেক পরিবারের ঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের মালামালসহ সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে। অতিরিক্ত পানির কারণে তারা ঘর ছেড়ে বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থান করছে।

চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মো. বায়েজীদ গাজী ও আতিক গাজী বলেন, মধ্য-চালিতাবুনিয়ার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পানি ঢুকে পুরো ইউনিয়নের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। অনেকের ঘরে থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। জোয়ার এলে সব তলিয়ে যায়, ভাটার সময় কিছুটা পানি কমে। কিন্তু বসবাস বা রান্নার মতো কোনো উপযোগী অবস্থা থাকে না। অনেকেই কষ্টে দিন যাপন করছেন।

অন্যদিকে, চরমোন্তাজের বাসিন্দা মো. রাকিব ইসলাম ও ওহাব মিয়া জানান, চরআন্ডা এলাকার বহুদিন ধরে ভাঙা বাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ করে গ্রামটি প্লাবিত হয়। নতুন করে আরও একটি অংশের বাঁধ ভেঙে গেছে বলেও তারা জানান।

প্লাবনের কারণে এলাকার অনেক পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্যচাষীরা।

রাঙ্গাবালী উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, “বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকার কারণে এবং জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক মৎস্য ঘের ও পুকুরের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পরে জানা যাবে।”

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপজেলা ওয়্যারলেস অপারেটর নজরুল ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শুক্রবার (২৫ জুলাই) পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গত মধ্যরাতে গাঙ্গের পশ্চিমবঙ্গ তৎসংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। অমাবস্যা এবং নিম্নচাপের কারণে পটুয়াখালী জেলায় ১-৩ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ু-তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইমরান

×