
ছবি: সংগৃহীত
এক সময় একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল— "চায়না জিনিস বেশিদিন টেকে না।" কিন্তু সময় যেন চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিল, সেই কথাটা আজ আর চলে না। বিশেষ করে চীন যা করে দেখাচ্ছে প্রযুক্তির জগতে, তা গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।
এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ— শাওমির তৈরি ইলেকট্রিক এসইউভি ওয়াই ইউ-৭, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অ্যাপল যেটা দশ বছরেও করতে পারেনি, সেটাই মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবে পরিণত করেছে শাওমি।
আপনি যদি সামনেই থাকা সাদা-সিধে একটা গাড়ি দেখেন, হয়তো কেউ ফিরেও তাকাবেন না। কিন্তু ভেতরের চমক জানলে চমকে উঠবেন। কারণ এটিই সেই গাড়ি, যেটা অ্যাপলের মতো টেক জায়ান্টকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
এক সময় শাওমি নামটা শুনলে অনেকেই বলতেন— “ওটা না চায়নার সস্তা ফোন কোম্পানি?”
হ্যাঁ, সেই শাওমি এখন বিশ্ব প্রযুক্তি বাজারে অন্যতম আলোচিত নাম।
তাদের নতুন ইলেকট্রিক SUV ‘ওয়াই ইউ-৭’ (Xiaomi SU7 SUV) বাজারে আসার পর মাত্র তিন মিনিটেই বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ইউনিট! যা একটি রেকর্ড। তবে শুধু বিক্রিই নয়, এই গাড়ির ফিচার শুনলেই বোঝা যায় কেন এটি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
ওয়াই ইউ-৭ এর কিছু বিস্ময়কর ফিচার:
একবার চার্জে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার চলার সক্ষমতা
মাত্র ৩.৯ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতি তোলে
রয়েছে বিশাল টাচস্ক্রিন এবং এআই-চালিত ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম
Snapdragon চিপসেট যুক্ত, যা এটিকে অনেকটা স্মার্টফোনের মতো করে তোলে
আধা-স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং, অটো পার্কিং
আর দাম মাত্র ৩০ হাজার ডলারের মধ্যে!
২০১০ সালে শাওমি প্রতিষ্ঠিত হয় লেই জুনের হাত ধরে। তখন তারা গিনেস রেকর্ড করে ২৪ ঘণ্টায় ২১ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।
এরপর মার্চ ২০২৩-এ তারা বাজারে আনে তাদের প্রথম ইলেকট্রিক সেডান SU-7। আর তারপর আসে SUV ওয়াই ইউ-৭, যেটি তিন মিনিটেই ২ লাখের বেশি ইউনিট বিক্রি করে রেকর্ড গড়ে।
অন্যদিকে, অ্যাপল গত ১০ বছর ধরে EV গাড়ি বানানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেও শেষ পর্যন্ত সেই প্রজেক্ট বাতিল করে দেয় অ্যাপল।
শাওমি সেখানে মাত্র ১৫ মাসেই রাস্তায় নামিয়েছে ৩ লাখেরও বেশি গাড়ি।
শেখ ফরিদ