
ছবি: সংগৃহীত
১৪০০ বছর আগের এই দিনে আরাফাতের ময়দানে বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন ইসলামের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। যা ইতিহাসে বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। এই ভাষণ শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য শান্তি, ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠার এক অমূল্য শিক্ষার বার্তা বহন করে।
📜 কী বলেছিলেন রাসূল (সা.)?
বিদায় হজের ভাষণে নবী (সা.) বলেন—
-
“সকল মানুষ আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি।” কোনো আরবের উপর অনারবের, বা শ্বেতাঙ্গের উপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, যদি না তা তাকওয়ার ভিত্তিতে হয়।
-
নারী ও পুরুষের অধিকার রক্ষার কথা বলেন তিনি।
-
সুদের প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং অর্থনৈতিক ন্যায্যতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
-
জীবনের, সম্পদের ও সম্মানের নিরাপত্তার গুরুত্ব দেন— বলেন, “তোমাদের একে অপরের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান হারাম।”
-
ইসলাম ধর্মের মূল পাঁচটি স্তম্ভের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
🌍 বিদায় হজের শিক্ষা আমাদের কী শেখায়?
✅ সব ধরনের বর্ণবাদ ও জাতিভেদের বিরুদ্ধে অবস্থান
✅ সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নারীর মর্যাদা
✅ অর্থনৈতিক শোষণ ও সুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ
✅ পরস্পরের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি
✅ ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও একতাবদ্ধ উম্মাহর প্রয়োজনীয়তা
🕊️ আজকের সমাজে প্রাসঙ্গিকতা
বর্তমান সময়েও বিদায় হজের শিক্ষাগুলো গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক। বিশ্বজুড়ে যেখানে বর্ণবাদ, বৈষম্য, সংঘাত ও অনাচার দেখা যাচ্ছে, সেখানে বিদায় হজের ভাষণ মানবতা, শান্তি ও ন্যায়ের পথ দেখায়।
আঁখি