ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ঢাকায় মাত্র ২০ লাখ টাকায় জমিসহ ফ্ল্যাট দিচ্ছে হ্যাপিনেস আবাসন! 

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ২ আগস্ট ২০২৫

ঢাকায় মাত্র ২০ লাখ টাকায় জমিসহ ফ্ল্যাট দিচ্ছে হ্যাপিনেস আবাসন! 

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া আজকাল অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো মনে হয়। ক্রমাগত বাড়তে থাকা জমির দাম, নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ও শহরের সীমিত জায়গার কারণে এই স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করা দিনকে দিন কঠিন হয়ে উঠেছে। ঠিক এমন সময়েই আবাসন খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে হ্যাপিনেস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় জমিসহ আধুনিক ফ্ল্যাট দিচ্ছে মাত্র ২০ লাখ টাকায়—তাও আবার কোনো নির্মাণ খরচ ছাড়াই।

‘হ্যাপিনেস সুইট হোম-১’ প্রকল্পের মাধ্যমে হ্যাপিনেস আবাসন যেন মধ্যবিত্তের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে এনেছে। বসিলা রোড সংলগ্ন মধুসিটি হাউজিং এলাকায় ৭১ কাঠা জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে একটি পরিকল্পিত কন্ডোমিনিয়াম কমপ্লেক্স, যেখানে প্রতিটি ইউনিটকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে “ল্যান্ড শেয়ার” ভিত্তিক এক ভিন্নধর্মী মালিকানা কাঠামো।
এই ফ্ল্যাটটি পাওয়ার জন্য ক্রেতাকে ১০ লাখ টাকা (১০৫০ স্কয়ারফুট) + ১০ লাখ টাকা (১০৫০ স্কয়ারফুট), অর্থাৎ মোট ২০ লাখ টাকায় দুটি ফ্ল্যাটের ল্যান্ড শেয়ার (২১০০ স্কয়ারফুট) কিনতে হবে। নির্মাণকালে যদি ক্রেতা নির্মাণ ব্যয় বহন করেন, তবে তিনি দুটি ফ্ল্যাটই পাবেন। আর যদি ব্যয় বহন না করেন, তাহলে কোম্পানি দুইটি শেয়ারের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাতে একটি নিয়ে নেবে এবং অপর ফ্ল্যাটটির নির্মাণ সম্পন্ন করে ক্রেতাকে প্রদান করবে। ফলে কোনো প্রকার হিডেন চার্জ ছাড়াই ক্রেতা মাত্র ২০ লাখ টাকাতেই ১০৫০ স্কয়ারফুটের ইন্টেরিয়র ছাড়া একটি ফ্ল্যাট পাবেন।

প্রকল্পের পেমেন্ট প্রক্রিয়াও রাখা হয়েছে সহজ এবং নমনীয়। আপনি চাইলে এককালীন মূল্য পরিশোধ করে জমির রেজিস্ট্রেশন ও ফ্ল্যাট নাম্বার নির্বাচন করতে পারেন। আবার চাইলে অর্ধেক টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটের নাম্বার নির্বাচন ও জমির বায়না রেজিস্ট্রেশন করে বাকি টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন। বুকিং শুরু মাত্র ১ লাখ টাকা থেকে। কিস্তির মেয়াদকাল ১৮ মাস। এত সহজ শর্তে রাজধানীতে জমিসহ ফ্ল্যাট পাওয়ার সুযোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।

সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো— এই প্রকল্পে আপনি শুধু ফ্ল্যাটের মালিকই হবেন না, পাশাপাশি আপনি হবেন ৬০ অযুতাংশ জমির মালিক। দীর্ঘমেয়াদে জমির মূল্য বৃদ্ধি লাভজনক বিনিয়োগ। ফলে, বসবাসের নিশ্চয়তার পাশাপাশি এই প্রকল্প আপনার ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তাকেও জোরদার করবে।

হ্যাপিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রকল্পে কোনো গোপন খরচ নেই। প্রতিটি বিষয় স্বচ্ছভাবে জানানো হচ্ছে এবং ক্রেতাকে সম্পূর্ণভাবে আইনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জমি ও ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হবে। জমির রেজিস্ট্রেশন, মালিকানার কাগজপত্র, হোল্ডিং নম্বরসহ সবকিছুই থাকবে গ্রাহকের নামে।

প্রকল্পের লোকেশনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসিলা ব্রিজের পাশেই নয়নাভিরাম পরিবেশে অবস্থিত মধুসিটি হাউজিং এলাকা, যা ঢাকার ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, শংকরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সহজেই যাতায়াতযোগ্য। আশেপাশে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, সুপারশপ, হাসপাতাল ও আধুনিক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব নাগরিক সুবিধা।
উদ্যোক্তারা শুধু একটি প্রজেক্ট বিক্রি করছেন না— তারা গড়ছেন একটি সম্মিলিত জীবনধারা। তারা একটি নিরাপদ, সুপরিকল্পিত ও সম্মিলিত বসবাসের পরিবেশ গড়ে তুলতে চান, যেখানে প্রতিটি পরিবার নিজেদের ঘরকে শুধু আবাস নয়, বরং একটি গর্বের ঠিকানায় রূপান্তরিত করতে পারে।

নতুন কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও হ্যাপিনেস লিমিটেড তাদের গ্রাহকদের প্রতি যে স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং দায়িত্বশীলতার আশ্বাস দিচ্ছে, তা প্রশংসার দাবিদার। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাহকের সঙ্গে লিখিত চুক্তি, জমির রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে তবেই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি ধাপেই থাকবে গ্রাহকের অংশগ্রহণ ও মতামতের মূল্যায়ন।

বৃহৎ কন্ডোমিনিয়াম ভবনটিতে থাকবে অত্যাধুনিক অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা, ছাদে থাকবে ওয়াকওয়ে, সুইমিং পুল, পার্ক। এছাড়াও থাকবে প্রয়োজনীয় সুপারশপ, ফার্মেসি, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, শিশুদের জন্য ডে-কেয়ারসহ নাগরিক জীবনের প্রয়োজনীয় সব অনুষঙ্গ। ফলে, শহরের কোলাহলমুক্ত প্রাকৃতিক নীরব পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন সম্ভব হবে।

ভবিষ্যৎ রক্ষণাবেক্ষণ, অ্যাসোসিয়েশন গঠন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনাও হবে পরিকল্পিত। ভবিষ্যতে বিল্ডিং রিনোভেশন বা অন্যান্য মেইনটেনেন্সের জন্য একটি যৌথ তহবিল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। নির্মাণের প্রতিটি ধাপে ব্যবহার করা হবে মানসম্মত ম্যাটেরিয়াল এবং থাকবে অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধান।

এই প্রকল্প শুধু একটি বসতবাড়ি নয়, বরং এটি একটি সুশৃঙ্খল কমিউনিটি তৈরির প্রচেষ্টা, যাতে একজন সাধারণ মানুষও নিজেকে এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গর্ববোধ করতে পারেন।

হ্যাপিনেস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, “আমরা চাই, ঢাকায় যাদের ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয় বলে মনে হয়, তারাও যেন সাহস করে এগিয়ে আসতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, ফ্ল্যাট কেবল একটি ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, এটি একটি পরিবারের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা, স্বপ্ন ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। সেই জায়গা থেকেই আমরা কাজ করছি।”
গ্রাহকরা চাইলে সরাসরি কোম্পানির অফিসে গিয়ে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন। অফিসটি ঢাকার ধানমন্ডি ৬/এ এলাকায় অবস্থিত। ঠিকানা: ৬৯/ডি/১, ৪র্থ তলা, ধানমন্ডি-৬/এ, ঢাকা-১২০৯। এছাড়াও ওয়েবসাইট (https://happinessabashon.com/) এবং +880 13 3509 6664 এবং +880 13 3509 6661 -এই দুই নম্বরে  WhatsApp ও ফোনকলের মাধ্যমেও পাওয়া যাবে যাবতীয় তথ্য ও সহযোগিতা।

ঢাকায় মাত্র ২০ লাখ টাকায় জমিসহ ফ্ল্যাট কেনার এমন সুযোগ সচরাচর আসে না। হ্যাপিনেস লিমিটেডের এই প্রকল্প তাই শুধুমাত্র একটি আবাসন উদ্যোগ নয়, এটি একটি যুগান্তকারী ভাবনা, যা মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খুলে দিয়েছে এক নতুন আশার জানালা।

এখন সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আপনি কি সেই মানুষ, যিনি প্রতিদিন স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি বাসার? তাহলে এই সুযোগটি হয়তো আপনার জন্যই। বুকিং দিন আজই, আর এগিয়ে যান নিজের স্বপ্নপূরণের পথে— একটি ঠিকানা, একটি আত্মমর্যাদা, একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে।

মুমু ২

×